ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

সিন্ডিকেটের টার্গেট রমজান মাস
১ মণ হলুদ-মরিচে ২৯ মণ ভেজাল!
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৩:২২ এএম  (ভিজিট : ৪৪৮)
পবিত্র রমজানে রমরমা ব্যবসা করতে ভেজাল মসলার কারবারিদের একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নে। মানবদেহের জন্য প্রাণঘাতি হতে পারে এমন ভেজাল মসলার কারখানা গড়ে তুলেছে তারা। ব্যাঙের ছাতার মতো ইউনিয়নটিতে গড়ে উঠেছে গুঁড়া হলুদ ও মরিচ গুঁড়া তৈরির কারখানা। এসব কারখানায় ডলোচুন, ধানের কুড়া, ভুট্টার মোচা এবং রংসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশিয়ে গুঁড়া হলুদ ও মরিচ গুঁড়া বানিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশেষ করে রমজানকে ঘিরে ভেজাল এই ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। 

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বড় ছত্রগাছা গ্রামের নুর আলম ডিস্কো, পলাশ মিয়া, খালেক মিয়া, বকশীগঞ্জের রনি সরকার, আবু হোসেন, মধ্যপাড়ার আফছার আলী, নিজপাড়ার রফিকুল ইসলাম, ঠান্ডা মিয়া, আমবাগানের হাফিজার রহমান লাভলু, ধাপেরহাট বন্দরের দুদু হাজি ও রিপন সাহাসহ আরও একাধিক অসাধু ব্যক্তি তাদের কারখানায় অবাধে গুঁড়া মরিচ ও হলুদে মেশাচ্ছেন মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং এবং বিভিন্ন বিষাক্ত কেমিক্যাল। 

সাদুল্লাপুর উপজেলার হলুদ চাষখ্যাত এলাকা হচ্ছে ধাপেরহাট ইউনিয়ন। সেখানকার অধিকাংশ কৃষক যুগ যুগ ধরে হলুদ ও মরিচ আবাদ করে আসছেন। এর ফলে ইউনিয়নটির নামকরণই হয়ে গেছে ‘হলুদ পল্লী’। এ খ্যাতির সুযোগ কাজে লাগাতে ধাপেরহাট এলাকায় প্রায় ১৫টি কারখানা স্থাপন করে বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপকরণ মিশিয়ে গুঁড়া হলুদ ও মরিচ গুঁড়া তৈরি করে তা দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হচ্ছে। এভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছে কিন্তু চরম হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। এসব কারখানায় মাঝে মধ্যে প্রশাসনের অভিযান চললেও থামছে না ভেজাল কারবার। আসছে রমজানকে সামনে রেখে জোরেসোরেই শুরু করা হয়েছে এই কারবার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেজাল গুঁড়া মরিচ ও হলুদ খেয়ে মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, কৃষকের কাছ থেকে ১ মণ কেনা শুকনো হলুদ ও মরিচে ২৯ মণ ভেজাল উপকরণ মেশানো হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে-ডলোচুন, ধানের কুড়া, ভুট্টার মোচা এবং রংসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে জানান তিনি। 

কারখানার মালিক রনি সরকার বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স রয়েছে। তারপরও প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর ও স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তিকে টাকা দিয়ে গুঁড়া হলুদ ও মরিচ গুঁড়া তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করছি। 
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর গাইবান্ধার সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, ভেজাল খাদ্যপণ্য প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ধাপেরহাটর এলাকার গুঁড়া হলুদ-মরিচ তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

সময়ের আলো/ আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close