ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে বাঁচাই সুন্দরবন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১:৪৩ এএম  (ভিজিট : ৮৬৬)
উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্র্য নিয়ে আপন ঐতিহ্যে উজ্জ্বল বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট নিছক কোনো বন নয়, এটি একটি ইকোসিস্টেম। এর নদ-নদী, চারদিকে ঘিরে থাকা বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ এখন শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের এক অনন্য সম্পদ। নানা ধরনের গাছপালা, পশুপাখি এবং মৎস্যসম্পদে পরিপূর্ণ বিশ্বখ্যাত সুন্দরবন। সুন্দরবনের মোট গাছপালার প্রায় ৭৩ ভাগই সুন্দরী গাছ। সুন্দরী গাছ ছাড়াও এখানে রয়েছে পশুর, ধুন্দল, কেওড়া গরান, গর্জন, গোলপাতা ও ফার্নের মতো প্রায় ৩৩০ প্রজাতির গাছপালা ও উদ্ভিদ, সিঈগাল, বাজ, সাদা বক, মাছরাঙা, কাঠঠোকরা, বনমোরগের মতো ২৭০ প্রজাতির পাখি এবং কোড়াল, ফাইসা, চিংড়ির মতো নানা ধরনের বড় ও ছোট আকারের ৪০০ প্রজাতির মাছ। সুন্দরবন শুধু প্রাকৃতিক সম্পদের আধারই নয়, দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা এবং ঝড়, বন্যার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে এলাকাকে বাঁচাতে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বনাঞ্চলের রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। বিগত প্রায় দুইশ বছরে কম করে হলেও ৩০ বার বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাত হেনেছে সুন্দরবনের ওপর। সবশেষে সিডর, আইলা ও মহাসেনের প্রবল তাণ্ডবে সুন্দরবনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। 
সুন্দরবন হারিয়েছে বিপুলসংখ্যক গাছপালা, পশুপাখি ও মৎস্যসম্পদ। ফলে প্রাণিবৈচিত্র্য হয়েছে হুমকির সম্মুখীন। তারপরেও ঝড়ঝঞ্ঝা, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, সিডর ও আইলার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে এলাকাকে বাঁচাতে সুন্দরবন রেখেছে সাহসী যোদ্ধার ভূমিকা। ঢাল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে সৈনিকের মতো সুন্দরবন রক্ষা করেছে উপকূলীয় লাখো মানুষের জীবন, তাদের বাড়িঘর, পশুপাখি, মানুষের বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল। প্রবল বেগে তেড়ে আসা প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশ উপকূলে এসে আঘাত হেনে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যেমনটি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল তেমনটি করতে পারেনি। বাংলাদেশের রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়েছে সুন্দরবন।

যুগ যুগ ধরে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার সঙ্গে সুন্দরবনের ছিল এক নিবিড় সম্পর্ক। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও আকর্ষণীয় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন এবং এর জীববৈচিত্র্য বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। অথচ বিশ্ব প্রকৃতির বিরলতম সম্পদ সুন্দরবনের অস্তিত্ব আজ ঝুঁকির মুখে। প্রাকৃতিক ও মানুষসৃষ্ট কারণে বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের বিপুল বৃক্ষরাজি ও প্রাণিসম্পদ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সময়ের দীর্ঘপথ পথ পরিক্রমায় দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বসতি স্থাপন, আবাদি জমি তৈরি, গৃহনির্মাণ ও জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের তাগিদে প্রায় ২ হাজার ৩০০ বর্গমাইল বিস্তৃত সুন্দরবনের সুন্দরী গাছসহ নানা প্রজাতির গাছপালা নির্বিচারে কাটা হয়েছে। অত্যাচার, অনাচারে জর্জরিত বিশ্ব প্রকৃতির বিরলতম সম্পদ বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের অস্তিত্ব ক্রমাগত ঝুঁকির মুখে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৫০ বছরে সুন্দরবনের প্রায় ৭৫ শতাংশ জায়গা গাছশূন্য হয়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

বিগত বছরগুলোতে সুন্দরবনের আশপাশের নদীতে অনেক জাহাজডুবিতে বিপন্ন হয়েছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য। বাগেরহাটের মোংলা বন্দর চ্যানেলে, সুন্দরবনের মধ্যে পশুর নদের হারবাড়িয়ায়, হিরণ পয়েন্টের অদূরে, পশুর চ্যানেলের শেওলা নদীতে কয়লাবোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবে নদীর পানি, জলজ প্রাণী ও সুন্দরবনের গাছপালার শ্বাসমূলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। বারবার ডুবে যাওয়া জাহাজে পরিবেশ দূষণকারী নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ও কয়লা থাকায় কয়লামধ্যস্থ সালফার ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড, কার্বন-ডাই অক্সাইড, নাইট্রাস-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত রাসায়নিক নদীর পানি ও বায়ুমণ্ডলকে দূষিত করেছে। মিথেন গ্যাস বনের শ্বাসমূল উদ্ভিদ ও জলজ প্রাণীর প্রজননকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ব্যাপকভাবে। সুন্দরবনের পাশে বয়ে চলা নদীতে যেসব জাহাজডুবির ঘটনা ঘটে জাহাজের মধ্যস্থিত ফর্নেস অয়েল, ফ্লাই অ্যাশ, কয়লা অথবা সারের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণ সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার নদীর পানি দূষণের মাত্রা ক্রমশ বাড়িয়ে দেয়। ধীরে ধীরে জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে এখানকার বনজসম্পদ ও প্রাণিকুল। জাহাজডুবি ছাড়াও মাঝেমধ্যেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে সুন্দরবনে। পুড়ে ছারখার হচ্ছে বিপুল বন এলাকা। অনেক সময় সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা স্বাভাবিক নয়। একশ্রেণির দুর্বৃত্ত তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে সুন্দরবনে আগুন লাগায়, পুড়িয়ে দেয় বিশাল বনাঞ্চল। বনখেকোরা কখনো কেটে উজাড় করে গাছপালা।

রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণসহ অন্যান্য প্রাণীর বেঁচে থাকার অনুসঙ্গ সুন্দরবনের দুর্লভ প্রাণী বাঘ হত্যায় লিপ্ত একশ্রেণির কুচক্র। ঝড়ঝঞ্ঝা, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাকে অসংখ্য বন্য প্রাণী হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। সুন্দরবনে এলাকার জমি বেদখল হয়ে যাওয়ায় বনের পরিধিও দিন দিন কমে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বনাঞ্চল হ্রাস পেলে বনের ওপর বেঁচে থাকা ২০ লাখ শ্রমজীবী মানুষের অন্ন সংস্থানের ওপর প্রবল নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তদুপরি জলবায়ুর আমূল পরিবর্তনের প্রভাব ক্ষতি করে চলেছে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশকে। বিগত এক দশকে সুন্দরবন এলাকার লবণাক্ততা প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লবণাক্ততা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পাচ্ছে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর সংখ্যা। কেননা পানির অতিরিক্ত লবণ জলজ প্রাণিকুলের বেঁেচ থাকার অনুকূলে নয়। এমনকি পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধিতে সুন্দরবনের বৃক্ষরাজির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্রাণী ও উদ্ভিদ দুই মিলিয়ে জীব জগতের অস্তিত্ব রক্ষায় সুন্দরবনের ভূমিকা অপরিসীম। সুন্দরবন ও এর আশপাশের এলাকার বায়ু চলাচলকে পরিচ্ছন্ন রাখতে, অক্সিজেনের জোগান দেয় সুন্দরবনের বৃক্ষরাজি। সুন্দরবনের নানা গাছ থেকে সংগৃহীত কাঠ আমাদের আবাসনের অন্যতম প্রধান উৎস। সুন্দরবনের আশপাশের নদীর জলধারা পানি দূষণ রোধে সহায়তা করে। 
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার অন্যতম প্রধান উৎস এই ম্যানগ্রোভ বন দেশের অর্থনীতিতে রেখে চলেছে অনবদ্য অবদান। বন থেকে প্রতি বছর সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব সংগৃহীত হয়ে থাকে। বনের জ¦ালানি সম্পদ, মৎস্যসম্পদ, মধু ও মোম দেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী সম্পদ। বনে কর্মরত লোকজনসহ দেশের লাখো মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস সুন্দরবন। সুন্দরবনের রূপ-লাবণ্য দেশি-বিদেশিদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। দেশের অর্থনীতিতে সুন্দরবনের পর্যটনের সম্ভাবনাকেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য প্রটোকল তৈরি করে ইউনেস্কো। উদ্দেশ্য বিশ্বের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ রক্ষা করা। বিশ্বের ১৪০টি দেশের মধ্যে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের সদস্যদের তালিকায় বাংলাদেশও প্রটোকল স্বাক্ষর করে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি বাংলাদেশ। যার ফলে ভূমিক্ষয়ের কারণে সুন্দরবনের আয়তন উল্লেখযোগ্য হারে কমে ৯ হাজার বর্গকিলোমিটারের স্থলে ৬ হাজার কিলোমিটারের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আরও স্থলভাগ বিলীন হয়ে সুন্দরবনের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার সঙ্গে সুন্দরবনের রয়েছে এক নিবিড় সম্পর্ক। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও আকর্ষণীয় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন এবং এর জীববৈচিত্র্য বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখতে এর আশপাশে যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিতে হবে। সুন্দরবনের কাছাকাছি নদীতে কয়লা ও তেলবোঝাই ট্যাংকারডুবির ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুন্দরবনের গাছপালা কাটা সম্পূর্ণ বন্ধ করা অত্যাবশ্যক। সুন্দরবন পুড়িয়ে দেওয়ার পেছনে যদি কোনো দুষ্টচক্রের হাত থাকে তাদের বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা। রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ যেকোনো বন্য প্রাণী হত্যার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। 

সুন্দরবন রক্ষায় জনবল সংকট, দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের অনুপস্থিতির পাশাপাশি বনভূমি দখল, বন বিভাগের অদক্ষতা, জনসচেতনতার অভাব, সর্বোপরি আইনের যথাযথ প্রয়োগের ব্যর্থতা বনভূমি সুরক্ষায় প্রধান অন্তরায় দূর করতে হবে। বন অধিদফতরের ‘বাংলাদেশ ফরেস্ট্রি মাস্টার প্ল্যান-২০১৭-৩৬’ খসড়া মতে, বাংলাদেশের প্রায় ৬৫ দশমিক ৮ শতাংশ রয়েছে ধ্বংস ঝুঁকিতে। সুন্দরবনসহ দেশের অন্যান্য ছোট ছোট বনাঞ্চল রক্ষা, নতুন বনাঞ্চল সৃষ্টি করতে হবে। জীবিকা, আবাসনসহ অন্যান্য প্রয়োজনে বনভূমির ওপর মানুষের চাপ হ্রাস করা অত্যাবশ্যক। সুন্দরবনসহ দেশের যেকোনো বনভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের কাছে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পূর্বে এর পরিবেশগত প্রভাবের দিকগুলো বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। ২০০১ সালে পরিবেশবাদী সংগঠন ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সুন্দরবন দিবস পালনের দাবি উত্থাপন করে এবং ২০০২ সাল থেকে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মানুষ দিনটিকে সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে, যদিও দাফতরিকভাবে এ দিনটি পালনের অদ্যাবধি কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি পালিত হলে সুন্দরবন রক্ষায় গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। 

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সুন্দরবনসহ দেশের সব বনভূমিকে দিতে হবে বিশেষ অগ্রাধিকার। ভয়াবহ ঝড়ঝঞ্ঝার সময় পাহাড়ের মতো উপকূলীয় এলাকার রক্ষাকবচ হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে আপন সন্তানের মতোই। আদর-যত্ন দিয়ে ভালোবাসতে হবে। সুন্দরবন বাঁচলে বনাঞ্চলের পাশর্^বর্তী এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। উন্নত হবে তাদের জীবন মান। সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ।

সময়ের আলো/ আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close