প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৫:৪২ পিএম (ভিজিট : ৪৩৬)
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের অপসারণ দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কলেজ চত্বরে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কলেজ চত্বরে অধ্যক্ষ প্রফেসর আলতাফ হোসেন ও উপাধ্যক্ষ আহসান হাবীবের অপসারণ দাবীতে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের বরণ করা নিয়ে সংসদ সদস্য কলেজ কর্তৃপক্ষের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুষ্ঠান ত্যাগ করার পর পুরো আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুজ্জমান রাসেল, সাধারণ সম্পাদক রাজিউল ইসলাম রাজু, প্রচার সম্পাদক তানভির আহম্মেদ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আসাদসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুজ্জমান রাসেল বলেন, বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের একই ফুল দিয়ে বরণ করার চেষ্টা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে অতিথিগণ অপমান বোধ করায় স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন। এ কারণে শিক্ষার্থীরাও অনুষ্ঠান বর্জন করেন।
তিনি বলেন, ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ অব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। এখানে কোন পানি সাপ্লাই ব্যবস্থা নেই। নেই কোন বিনোদনমূলক স্থান, ভালো কোন বসার জায়গা নেই, ছাত্রাবাসে ভালো থাকার ব্যবস্থা নেই, লাইটগুলোর নিভু নিভু অবস্থা, ওয়াশরুমগুলোতে যাওয়ার কোন উপায় নেই। এছাড়াও কলেজ ক্যাম্পাসের চারপাশে ফেন্সিডিলসহ অন্যান্য মাদকের ছড়াছড়ি। দেখার কেউ নেই। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ শুধু বিল ভাউচার করা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। কলেজের লেখাপড়া সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, সেদিকে কোন নজর নেই। ছোট ছোট অনুষ্ঠানগুলোর খরচের চেয়ে তিনগুণ বিল ভাউচার করছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। সব মিলিয়ে কলেজের পরিবেশ একেবারে নষ্ট করে ফেলেছেন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ। এ কারণে তারা অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষর অপসরণের দাবীতে আন্দোলনে নেমেছেন।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ আহসাব হাবীবের সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে অধ্যক্ষ প্রফেসর আলতাফ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাজনৈতিক ভাবে তাকে হয়রানির জন্য একটি রাজনৈতিক সংগঠন আন্দোলন করছে বলে জানান।
সময়ের আলো/আরআই