প্রকাশ: বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৭:৩২ পিএম (ভিজিট : ৪৮৬)
৫২’র ভাষা আন্দোলনে যাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি মা এর ভাষা বাংলা ভাষা। সেই বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে পুস্পস্তবক অর্পণ করতে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্য রেখায় জড়ো হয়েছিলেন দু’দেশের বাংলা ভাষীরা। একে অপরকে ফুলের স্তবক দিয়ে জানান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা। তারা একে অপরের সাথে পুষ্পস্তবক অর্পণের পাশাপাশি কুশল বিনিময় করেন।
এপারে বাংলা ওপারে বাংলা। মাঝখানে বাঁধা শুধু কাটা তারের বেড়া। ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে দু’দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখতে আসেন বাংলাভাষা প্রেমীরা। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সীমান্তের দু’পাশে শত শত মানুষ তা উপভোগ করেন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্টের শূন্য রেখায় ভারতের পক্ষে বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি ও বালুরঘাট টু বাংলাদেশ ভায়া মেঘালয় করিডোর কমিমি, বাংলাদেশের হাকিমপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদকের কাছে ফুলের স্তবক হস্তান্তর করেন। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের হিলি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এবং সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত ভারতের ওই সংগঠনের কাছে ফুলের স্তবক হস্তান্তর করেন। এরপর তারা নিজ নিজ দেশের শহীদ বেদীতে ফুলের স্তবকগুলি অর্পণ করেন।
এসময় সেখানে ভারতের বালুরঘাট টু বাংলাদেশ ভায়া মেঘালয় করিডোর কমিটির আহবায়ক নবকুমার দাশ, উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সুরুজ দাশ, বাংলাদেশের হাকিমপুর হিলি পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী, সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার প্রকাশক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলু ও মুক্তিযোদ্ধাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, দুই বাংলার মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতিসহ ভাষা প্রেমীদের মেলবন্ধন অটুট রাখতে ২০১৫ সাল থেকে হিলি সীমান্তে দুই বাংলার উদ্যোগে এমন আয়োজন করে আসছে। সামনের দিনে আরো বড় পরিসরে রাষ্ট্রীয় ভাবে সীমান্তের শূন্য রেখায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজনের কথা জানান তারা।
সময়ের আলো/আরআই