প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৭:১৭ পিএম (ভিজিট : ৬১০)
প্রথম বারের মতো দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর উপজেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ করে সাড়া ফেলেছেন গোলম মোস্তফা নামের এক কৃষক। কম খরচে অধিক লাভ ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় আগ্রহ দেখাচ্ছে অন্যান্য কৃষকেরাও।
উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছেন, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নতুন জাতের এ ফুলকপির আবাদ বাড়াতে সব ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে ব্যাপক হারে এই বেগুনি রঙিন কপির আবাদ ছড়িয়ে দিতে মাঠ প্রদর্শনীসহ নানা ভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ২০ শতক জমিতে রঙিন প্রজাতির ফুলকপি ‘ভ্যালেনটিনা’ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন উপজেলার কৃষক গোলাম মোস্তফা। এরপর থেকেই একজন কৃষি ইউনিয়ন ব্লক সুপার ভাইজারের সার্বক্ষণিক তত্বাবধানে তিনি এই রঙিন ফুলকপির চাষাবাদ করেন। নতুন জাতের এই দৃষ্টিনন্দন ফুলকপি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। নতুন জাতের এই ফুলকপি আবাদ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তারা। এ ফুলকপি বাজারজাত শুরু হওয়ার পর থেকেই অনেকে আসছেন কিনতে। সেই সাথে এই ফুলকপিতে এন্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি বেশি পরিমাণে থাকায় ক্যান্সার বিরোধী। তাই এ সবজির আবাদ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সচেতনতার পাশাপাশি দিয়ে যাচ্ছেন প্রণোদনা। আগামীতে একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে এই রঙিন ফুলকপি চাষাবাদ বৃদ্ধি করার লক্ষে উপজেলা কৃষি অফিস সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
রঙিন ফুলকপি চাষি গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্য বীজ সার দিয়েছে। ২০ শতক জমিতে প্রতি পিস ফুলকপি উৎপাদনে খরচে হয়েছে ১০ টাকা। এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
হাকিমপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অমিত রায় বলেন, এ উপজেলায় প্রদর্শনী খামারের মাধ্যমে প্রথম বারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করা হচ্ছে। রঙিন হওয়ায় বাজারে এর দামও যেমন রয়েছে। বাজারে এর চাহিদায়ও বেশি। এ উপজেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের উৎসাহী করার লক্ষে উপজেলা প্রশাসন থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম বারের মতো হাকিমপুর উপজেলার খট্টামাধবপাড়া এলাকার বলরামপুর গ্রামে বেগুনি রঙিন ফুলকপির একটি প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। এই ফুলকপিতে এন্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি বেশি পরিমাণে থাকায় ক্যান্সার বিরোধী। অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ, রঙিন বিদেশি সবজি, বাজারে এর চাহিদা বেশি। চাষাবাদে কম পরিমাণ কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। এই ফুলকপির আবাদ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবে। সাধারণ ভোক্তার নিটক পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি সহজ লভ্য হবে ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সময়ের আলো/আরআই
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন জরুরি
দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনেও অস্বস্তিতে রিয়াল
দিয়াবাতেকে ছাড়বে না মোহামেডান
বিসর্জনে অর্জন
মৃত্যুঞ্জয়ী গাজা
হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ী সমাবেশ
কালিহাতীতে কোটা আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার ৩
সোলস আমার পরিবারের একটি অংশ: তুষার
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
টস জিতলো ভারত, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী
শেয়ারবাজারে এক সপ্তাহে হাওয়া ১৩ হাজার কোটি টাকা!