প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:০৫ এএম  (ভিজিট : ৪৮৮)

কুড়িগ্রাম শহরর খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় এক নারী এনজিও কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৪ ফব্রুয়ারী) সন্ধ্যা সাড় ৭টার দিকে শোবার ঘর থেকে গলায় দড়ি পেচানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত নারীর নাম শেফালী বগম (৩২)। তার বাড়ী জেলার উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নর পাঁচপীর মন্ডলপাড়া গ্রামে। তিনি খলিলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন জনৈক কাজলের বাড়িতে স্বামীসহ ভাড়া থাকতেন।

তিনি শহরের ত্রিমোহণী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ‘দারিদ্র বিমোচন জনকল্যাণ প্রকল্প’ থানা অডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী রঞ্জু সরকার একই অফিসে প্রকল্প পরিচলকের দায়িত্ব পালন করেন। ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি নিয় রহস্য দেখা দিয়েছে।

নিহতের সহকর্মী ফিল্ডকর্মী সাথী জানান, আমি অসুস্হজনিত কারণে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। দুপুর ১১টা ৫৬মিনিট শেফালী আপার সাথে আমার মোবাইলে কথা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্বামী প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক রঞ্জু সরকার আমাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। তিনি আমাকে বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীর সাথে থাকতে বলার পর তার সাথে আমার আর কোন যোগাযোগ হয়নি। আমি সন্ধ্যায় শেফালী আপার বাড়ী এসে দেখি ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। পরে বাড়ীর লোকজন পুলিশে খবর দিলে তারা দরজা খুলে তাকে আর্ধেক বসা অবস্থায় গলায় রশি পেচানো ফাঁস লাগানো এবং জানালার গ্রীলের সাথ রশি বাধা অবস্থায় দেখতে পান।

প্রত্যক্ষদশী তাসলিম ও সাইদুর জানান, মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। দরজা কিছুটা ভেজানো অবস্থায় ছিলো। দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিলো। স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর আসনি। ঘটনা জানার পর আমরা ফোন করলে প্রথমে রিসিভ করে আসতে চাইলেও এখন ফোন বন্ধ করে দিয়েছে মেয়েটির স্বামী রঞ্জু।

বাড়ীর মালিক কাজলের ছাট ভাই বাদল জানান, এই পরিবারটি গত ১৫ ডিসম্বর বাড়ী ভাড়া নেয়। তারা দুজন এনজিওতে চাকুরী করেন। তাদের ৭বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান আছে কিন্তু সে থাকে নানা বাড়ীতে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, আমরা ঘটনাস্হলে এসেছি। লাশের সুরৎহাল শেষে থানায় নেয়া হবে। এ ব্যাপার একটি অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সব দিক বিবেচনা করে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা তদন্ত করছে পুলিশ।


সময়ের আলো/এএ/