প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৮:৪৮ পিএম আপডেট: ১৩.০২.২০২৪ ৮:৫৩ পিএম (ভিজিট : ১১১৩)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের ৪ দিনের পর হাতের মেহেদী শুকানোর আগেই নববধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর মধ্যপাড়ায় স্বামী আব্দুল হামিদ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনার সময় বড় ভাই আব্দুল হানিফকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ঘাতক হামিদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ছুরি উদ্ধার করেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার প্রবাসী পুত্র আব্দুল হামিদের সাথে ৭/৮ মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুই পরিবার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসে আব্দুল হামিদ। এরমধ্যে একবার তাছলিামকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে ঘুরে আসে। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে হঠাৎ আশেপাশের লোকজন হৈ চৈ শুনে হামিদের বাড়িতে এসে দেখে হামিদ গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যা করেছে।
এদিকে খবর পেয়ে নিহতের ভাই আব্দুল কুদ্দুছ ঘটনাস্থলে এসে বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন আর বোনের নাম নিয়ে বিলাপ করছিলেন। তিনি বলেন, ৭/৮ মাস আগে বিদেশে থাকা অবস্থায় হামিদের সাথে বোনের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার অনুষ্ঠান করে বোনকে স্বামীর বাড়িতে পাঠাই। এসময়ের মধ্যে কোন ঝামেলা হয়েছে কিনা বলতে পারিনা। আমি আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।
স্থানীয় কয়েকজন জানায়, হামিদ ৬ বছর বিদেশ ছিল। ১৫/২০ দিন আগে দেশে ফিরে আসে। হীরাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. হেলাল মিয়া বলেন, দুপুরের নামাজ পড়ে হৈ চৈ শুনে দৌড়ে এসে দেখি হামিদ তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।
ঘটনার বিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরে আলম বলেন, দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি বিছানায় গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় নববধূর লাশ পড়ে আছে। আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। আসামি পলাতক আছে। আসামি গ্রেফতারের জন্য আমাদের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে।
সময়ের আলো/আরআই