ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীর ফেরত পাঠানোর কাজ
প্রকাশ: সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৮:২৬ পিএম  (ভিজিট : ৪৩০)
পালিয়ে আসা মোট ৩৩০ সীমান্তরক্ষীদের (মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী পুলিশ-বিজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা রয়েছেন) মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কাজ অগ্রাধিকারভিত্তিতে করছে বাংলাদেশ। খুব সহসাই তারা ফেরত যাবে। 

অন্যদিকে, সদ্য সমাপ্ত দিল্লি সফরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মিয়ানমার থেকে তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে জাহাজ আসার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাহাজটি কখন ভিড়বে সেটি একটি সিক্রেট বিষয়, কেননা এর সঙ্গে নিরাপত্তা জড়িত। আর বিষয়টি টেকনিক্যাল। তবে আমরা সম্মত যে মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। আর এটা খুব সহসা হবে।

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও তাদের সাথে কিছু সেনা যারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, তারা রোহিঙ্গা গণহত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট কিনা সেটি তদন্ত করার দাবি উঠেছে, এই বিষয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য কী? 
এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আপাতত তাদের ফেরত পাঠানো নিয়েই কাজ করছি। কারণ সেটিই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার এবং মিয়ানমারও তাদের নিয়ে যেতে চায়। আমরা সেটি নিয়েই কাজ করছি।

ভারত সফরে মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে এখন যে সংঘাত চলছে সেই সংঘাতের কারণে আমাদের অঞ্চলে যে সংকট তৈরি হয়েছে, নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে সে বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে, তাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে সেখানে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে ভারতের সহায়তা কামনা করেছি।

মিয়ানমার ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশ কিভাবে একসঙ্গে কাজ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করি। মিয়ানমারে যদি কোন পরিস্থিতির উদ্বেগ ঘটে তাহলে সেটি আমাদের দেশকে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা উদ্বিগ্ন করে ভারতকেও উদ্বিগ্ন করে। সুতরাং দুই দেশেরই যেহেতু উদ্বেগ প্রতিবেশিকে নিয়ে তাই আমাদের একসঙ্গে কাজ করার অনেক বিষয় রয়েছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য আরাকান আর্মি দখল করেছে, বান্দরবানের মিয়ানমার সীমান্তে তারা টহল দিচ্ছে সেটি দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সংকট তৈরি করবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, মিয়ানমারে যেটি ঘটছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের নিরাপত্তা চৌকি কে পাহারা দিচ্ছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের অভ্যন্তরীণ গন্ডগোলের কারণে এখানে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হোক সেটি আমরা কখনো চাই না। আমাদের এখানে তাদের শেল এসেছে পড়েছে, দুইজন নিহত হয়েছে। সেটি নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি।

রাখাইনের রাজধানী সিত্তে থেকে বাংলাদেশ কনসুলেটের কূটনীতিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

নাফ নদীর তীরে অনেক রোহিঙ্গা অপেক্ষা করছে, তাদের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয় হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের দেশে রোহিঙ্গা ১.২ মিলিয়ন সাময়িক আশ্রয় নিয়েছে। এখন রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। যেমন পরিবেশগত সমস্যা, নিরাপত্তাজনিত সমস্যা, মাদকজনিত সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের পক্ষে কি আরো রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়া সম্ভব? আর মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিয়েই সংঘাত চলছে তা নয়। তাদের মধ্যে নানা জাতিগোষ্ঠী আছে। তাদের মধ্যে নানা সমস্যা চলছে। সেই সংঘাতের উত্তাপের কারণে আমাদের দেশে আমরা নানা ধরনের সমস্যায় পড়ব সেটি কি সঙ্গত?

সময়ের আলো/এম 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close