প্রকাশ: রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৯:১২ পিএম (ভিজিট : ৫৭২)
প্রতিবেশি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ফলে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের মোট ৩৩০ জন (মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি), সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা রয়েছেন) সীমান্তরক্ষীরা চলতি সপ্তাহের শেষদিকে মিয়ানমারে ফেরত যেতে পারে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের এই সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্ব ঘটচ্ছে।
ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র দৈনিক সময়ের আলোকে জানিয়েছে, পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীদের ফেরত নেওয়ার জন্য গত সপ্তাহেই কূটনৈতিকপত্রের মাধ্যমে অনুমতি চেয়েছে মিয়ানমার। কিন্তু এই ধরনের অনুপতিপত্রের জন্য আবেদনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী যে সকল তথ্য-উপাত্ত থাকা প্রয়োজন সেখানে সেসকল তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি ছিল। তখন বিষয়টি নেপিদোকে জানিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্ত চায় ঢাকা। যার প্রেক্ষিতে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) নেপিডো থেকে পাঠানো পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্ত হাতে পায় ঢাকা। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ অংশের কক্সবাজারে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ ভেড়ার নীতিগত অনুমতি দেওয়া হয়। এই সংক্রান্ত বাকি আনুসঙ্গিক কর্মকাণ্ড শেষ করতে চলমান গোটা সপ্তাহ প্রয়োজন। এই প্রেক্ষিতে আশা করা যাচ্ছে যে চলতি সপ্তাহের শেষদিকে পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীরা মিয়ানমারে ফেরত যেতে পারে।
আনুসঙ্গিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে একটি সূত্র জানায়, যে জাহাজটি মিয়ানমার থেকে আসবে সেটি সাধারণ কোনো জাহাজ নয়, এটি ওই দেশের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ। এই ধরনের জাহাজ অন্য দেশে যাওয়ার আগে ওই জাহাজের ক্রুদের সম্পর্কে সকল তথ্য, জাহাজের সক্ষমতা, জাহাজে থাকা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ বিস্তারিত সকল তথ্য দিতে হয়। সেই হিসাবে ওই জাহাজের সকল তথ্য-উপাত্ত রোববার পাওয়া গেছে। যা সরকারের সংশ্লিষ্টরা যাচাই-বাছাই করে দেখছেন। এই সকল প্রক্রিয়া শেষ হলেই পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা যেতে পারবে। যা চলতি সপ্তাহের শেষদিকে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
নেপিদোর একটি কূটনৈতিক সূত্র দৈনিক সময়ের আলোকে জানিয়েছে, পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীদের ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রক্ষা করছে। যে কারণে গত সপ্তাহে নেপিদো থেকে ঢাকার কাছে কূটনৈতিকপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীসময়ে ঢাকা আরো তথ্য-উপাত্ত চাইলে সেটাও দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের জাহাজটি এখন কক্সবাজারের পথে আছে। যত দ্রুত সম্ভব কক্সবাজার ভেড়ার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, মিয়ানমার ইস্যুতে রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা করা হয়। এছাড়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের দেশে ফেরত পাঠাতে করণীয় ঠিক করতে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিবের (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) নেতৃত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সময়ের আলো/এম