ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

একদিকে চলছে ভাঙন রোধের কাজ, অন্যদিকে বালু উত্তোলন
প্রকাশ: রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৩:১১ এএম  (ভিজিট : ৭২৪)
একদিকে সরকার হাজারো কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙন রোধের কাজ করছে, অন্যদিকে প্রভাবশালী একটি মহল নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ভাঙন সৃষ্টি করছে। সবকিছু দেখেও প্রশাসন চুপ। ভোলা জেলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরা। উপজেলাটি এমনিতেই অবহেলিত। বর্তমানে সেখানে যে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে তা নিয়েও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। 

উপজেলাটির উত্তর মাথায় রামনেওয়াজের মেঘনা পাড়ের ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড-২। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে সেখানে ভাঙন রোধে ১১শ কোটি টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ডাম্পিং, সিসি ব্লক স্থাপনের কাজ চলছে। অন্যদিকে দক্ষিণে সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। 

সম্প্রতি মনপুরার বাংলাবাজার এলাকার বনের ভেতর দিয়ে হেঁটে নদীর পাড়ে পৌঁছে দেখা গেছে, সেখানে বালু উত্তোলনের সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রেজার, বলগেটসহ সবকিছু হাজির। কয়েক কিলোমিটার পাইপ লাইন টেনে বিভিন্ন জলাশয়, পুকুর কিংবা কৃষি জমি বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। 

সেখানে কথা হয় ড্রেজার মিস্ত্রি হিরন মিয়া ও কর্মী রুবেলের সঙ্গে। তারা জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানের লোক মোসলেহ উদ্দিনের নির্দেশে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বলগেটের মাধ্যমে পাইপলাইন টেনে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ফেলা হচ্ছে এই বালি। গত ১৫ দিন ধরে বালু উত্তোলনের এই কাজ চলছে। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাকুচিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নামে এই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত দুটি পুকুর ভরাট করতে বলেছি মাটি দিয়ে। বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তারপরও খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব।’ 

বলগেটের কর্মীরা জানান, এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে শাহজাহান মেম্বার এবং ইয়াসিন সর্দার জড়িত। ওই দুজনের সঙ্গে কথা বলতে তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কথিত চেয়ারম্যানের লোক মোসলেহ উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, নদী থেকে বালু তুলে তারা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। 

মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বালু উত্তোলন বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ বালু উত্তোলন করলে ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

পানি উন্নয়ন বোর্ড-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন অত্যন্ত ক্ষতিকর। লোক পাঠিয়ে বাস্তবতা দেখা হবে।’

সময়ের আলো/আরএস/ 









https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close