ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

মালিক জমি ছেড়ে দিতে বলায় দিশেহারা ভূমিহীন দম্পতি
প্রকাশ: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৪:৩০ পিএম  (ভিজিট : ৮২৮)
 প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের প্রত্যাশায় ভূমিহীন শহিদুল-তহুরা দম্পতি । ছবি: সময়ের আলো

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের প্রত্যাশায় ভূমিহীন শহিদুল-তহুরা দম্পতি । ছবি: সময়ের আলো

অন্যের জমিতে পলিথিন ও চটে ঘেরা খুপরি ঘর বানিয়ে বসবাস করেন ভূমিহীন শহিদুল-তহুরা দম্পতি। ওই জায়গাটিও জমির মালিক ছেড়ে দিতে বলায় দিশেহারা হয়ে পরেছেন অশীতিপর বৃদ্ধ শহিদুল ইসলাম।

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের সোনাখুলি গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (৮২)। পৈত্রিক কোন জমিজমা না থাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যের জমিতে কেটেছে পুরো সংসার জীবন। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে সফিকুল বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। আয় নেই, ঘর নেই, নেই আপনজন। বড় একাকীত্বের জীবনে সঙ্গী হন তহুরা বেগম (৫৬) নামে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী। সেও ছিল বড়ই অসহায়। স্বামীর সংসারে ঠিকমত খাবার জুটতনা। তার ওপর ছিল স্বামীর নির্যাতন। তাই একমাত্র মেয়ে তাসমিরাকে (৩) নিয়ে আশ্রয় নেন একই ইউনিয়নে ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে।

ওই মামার সাথে যোগাযোগ করেই শহিদুল ইসলাম বিয়ে করেন তহুরা বেগমকে। গত বছর বিয়ের পর আশ্রয় হিসাবে পুরাতন পোড়ার হাট এলাকার সড়কের ধারে অন্যের জমিতে কয়েকটি টিন, পলিথিন ও চটের ঘেরা দিয়ে ঘর বানিয়ে বসবাস শুরু করেন। শীত প্রবণ এই অঞ্চলের শীতল বাতাস আর কনকনে ঠাণ্ডা বিপর্যস্ত করে তুলেছে তাদের জীবন। শীতে জবুথুবু জীবনে শারীরিক অসুস্থতার কারণে পলিথিন ও বোতল কুড়ানো কাজও করতে পারেনি শহিদুল। স্ত্রী তহুরা বেগমও অসুস্থ। তাই একমাত্র ছোট শিশুকে নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন পার করছেন তারা।

গৃহহীন শহিদুল ইসলাম বলেন, অন্যের জমিতে আছি। তিনিও ছাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এখন কোথায় যাব? সরকারি ভাবে একটু মাথা গোজার ঠাঁই পেলে বাঁচতে পারতাম। না হলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে পথে পথে ঘুরতে হবে।

স্ত্রী তহুরা বেগম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর দিয়ে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। তার উপহারের ঘর সামর্থবানরাও পেয়েছেন। অথচ আমার মতো হতভাগীর ভাগ্যে একটা ঘর জোটেনি। ইউএনও স্যারকেও বলেছিলাম তিনি দিবে বলছেন, কিন্তু এখনও ঘর পাইনি।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, আমি নতুন এসেছি। প্রকৃত ভূমিহীনরা অবশ্যই ঘর পাবেন।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর   ভূমিহীন দম্পতি   সৈয়দপুর   নীলফামারী  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close