ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

পেঁয়াজের কেজিতে একলাফে দাম বাড়ল ২০ টাকা
প্রকাশ: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১:৩২ এএম  (ভিজিট : ৪৯২)
পেঁয়াজের বাজারে টালমাটাল অবস্থা কাটছেই না। আবারও পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি বাড়ল একলাফে ২০ টাকা। মাঝে দিন দশেক ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ১ কেজি পেঁয়াজ মিললেও এখন তা ১২০ টাকায় ঠেকেছে। 

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে চলে আসায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। মূলত এ কারণেই ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

তবে ক্রেতারা ব্যবসায়ীদের এ যুক্তি মানতে নারাজ। ক্রেতাদের ভাষ্য, পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকলে ব্যবসায়ীদের কাছেও পেঁয়াজ কম থাকত। বাজারে গেলে তো কোনো ব্যবসায়ীর কাছে পেঁয়াজের কমতি দেখা যায় না। দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের যুক্তিকে খোঁড়া অজুহাত বলে মনে মনে করেন ভোক্তারা।
অন্যদিকে আমদানির সবচেয়ে বড় বাজার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আমদানি না থাকায় কয়েক মাস ধরে আগাম জাতের পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদা মেটানো হচ্ছে। ফলে দেশীয় এ পেঁয়াজের সরবরাহ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

কারওয়ান বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, গত বুধবার রাতে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭৮ থেকে ৮২ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সকালেই কেজিতে ১৫ টাকার মতো দর বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৯৩ থেকে ৯৭ টাকা পর্যন্ত। মূলত পাইকারি বাজারে দর বাড়ার কারণে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। কিছু কিছু পাড়া-মহল্লার দোকানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা দরেও বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারতের রফতানি পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও গত ২ মাসে চীন ও পাকিস্তান থেকে কিছু পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগণ্য। ফলে তাতে বাজারে কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না।

শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাজেদ জানান, ডলারের বাড়তি দামের কারণে অন্য দেশ থেকে আমদানি করলে প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম পড়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ ও মুনাফা হিসাব করলে ১০০ টাকার কাছাকাছি খরচ পড়ে যায়। তাই আমদানিকারকদের বড় লোকসানের মুখে পড়তে হবে। এ জন্য ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে চান না।

তিনি বলেন, হালি পেঁয়াজ উঠতে আরও এক থেকে দেড় মাস লাগতে পারে। সে জন্য সরকারের উচিত ভারত থেকে পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নেওয়া। কারণ প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় ভারত থেকে ২-৩ দিনেই পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব।

অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে এখন কিছুটা কমেছে সবজির দাম। করলা, ঢ্যাঁড়শসহ দুয়েকটি সবজির দাম চড়া থাকলেও বেশির ভাগ সবজি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দরের এমন চিত্র দেখা গেছে। কিছু দিন আগে সবজি বিক্রেতারা দাবি করেছিল ক্ষেতে চাষ করা সবজিগুলোর শেষ সময় থাকায় সরবরাহ কমায় বেড়েছিল দাম। তবে এখন নতুন করে চাষ করা সবজি উঠতে শুরু করেছে, সে কারণে বাজারে সরবরাহ বাড়ছে সবজির। তাই আজকের বাজারে সবজির দাম কিছুটা কম। এই দাম আরও কমে আসতে পারে।

বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা যা কিছু দিন আগে ৮০ থেকে ১০০ টাকা ছিল, শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা, তবে বিচিযুক্ত শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা আগে ছিল সর্বনিম্ন ৮০ টাকা। ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

অন্যদিকে টমেটোর দাম কিছুটা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ , মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০, করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০ থেকে ৪০ , গাজর প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ , ঢ্যাঁড়শ প্রতি কেজি ৮০, ব্রুকলি প্রতি পিস ৪০, শালগম প্রতি কেজি ৪০, শসা প্রতি কেজি ৭০, মুলা প্রতি কেজি ৫০ এবং পেঁয়াজের ফুল প্রতি আঁটি ২০ টাকায়।

অন্যদিকে চালের বাজার এখনও চড়া। বাজারে মোটা চালের কেজি ৫৫ থেকে ৫৬, মাঝারি মানের মিনিকেট চালের কেজি ৬৮ থেকে ৭০ এবং ভালো মানের মিনিকেট চালের কেজি ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা। আর উন্নতমানের নাজিরশাইলের কেজি ৮০ থেকে ৮২ টাকা। এ ছাড়া মাছ-মাংসের বাজারও আগের মতোই চড়া রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম এখন ৭৫০ টাকা, খাসির মাংসের কেজি ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকা।


সময়ের আলো/আরএস/ 






https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close