প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:২৭ পিএম আপডেট: ১০.০২.২০২৪ ১২:০৬ এএম (ভিজিট : ৫৭৩)
অভ্যন্তরীণ জেরে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের পালিয়ে আসা মোট ৩৩০ সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষীকে ফিরিয়ে নিতে নেপিদো থেকে কক্সবাজারে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ আসছে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি)।
এদিন জাহাজ আসার পর যত দ্রুত সম্ভব সকল প্রক্রিয়া শেষ করে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে জাহাজটি ফিরে যাবে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে কূটনৈতিক একটি সূত্র দৈনিক সময়ের আলোকে জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ উত্তেজনার ফলে বাংলাদেশের সীমান্তে মর্টারসেল ছোড়া নিয়ে পরিস্থিতির শুরু থেকে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছে। গত দুইদিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তাদের পালিয়ে আসা সীমান্ত রক্ষীদের ফেরত নেয়ার বার্তা জানান। এরই মধ্যে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ তাদের সীমান্ত রক্ষীদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে যাত্রা শুরু করেছে। জাহাজটি এখন সমুদ্র পথে আছে, বাংলাদেশের কক্সবাজারে শনিবার নোঙ্গর করবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় যাতে নোঙ্গর করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশের অনুমতি চেয়ে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে মিয়ানমার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী এখন মিয়ানমারের নৌ জাহাজটিকে নগর করার অনুমতি এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিবে। শুক্রবার রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
শনিবার জাহাজটি কক্সবাজারে নোঙ্গর করার পর পালিয়ে আসা মিয়ানমারের মোট ৩৩০ সীমান্ত রক্ষীকে ওই জাহাজে তোলা, জাহাজের তেল ভরা, খাবার-দাবার নেওয়া সহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে জাহাজটি মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে বলেন, ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং মিয়ানমারে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার তাদের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। যত শীঘ্র সম্ভব তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত গত বুধবার অপরাহ্নে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
সময়ের আলো/এম