রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে পাহারায় কর্মরত অবস্থায় গ্রাম পুলিশ রনজিৎ কুমার দে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করাসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছাগল চোরদের চিনে ফেলা এবং চোরদের থানায় সোপর্দ করার কথা বলায় চোরেরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের মধ্যে মুক্তার শেখ নামে একজনকে গ্রেফতার ও চুরি হওয়া একটি ছাগল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ।
গ্রেফতারকৃত মুক্তার শেখ ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ঝাউকাঠি গ্রামের আজিদ শেখের ছেলে।
পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের জেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়। নির্বাচনের আগের দিন গত ৬ জানুয়ারি সকালে বালিয়াকান্দি উপজেলার চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরত অবস্থায় একজন গ্রাম পুলিশ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। আমরা এটিকে স্পেশাল রিপোর্টেট কেস হিসেবে ঘোষণা করি এবং একটি তদন্ত টিম আমরা গঠন করি। তদন্ত টিমে ৫ জন সদস্য ছিল। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, মূলত ছাগল চুরিকে কেন্দ্রে করে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। ঘটনাস্থল চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী দুটি বাড়ি থেকে দুটি ছাগল চুরি করে মুক্তারসহ ৩ জন। নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশি টহল থাকায় তারা চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মেহগনি বাগানে অবস্থান নেয়। এরপর রাত ৩টার দিকে প্রকৃতির ডাকে গ্রাম পুলিশ রণজিৎ বিদ্যালয়ের পিছনে যান এবং তাদের চিনে ফেলেন। এ সময় তারা তাকে টাকা অফার করে। কিন্তু তিনি এতে রাজী না হয়ে তাদেরকে থানায় ধরিয়ে দিতে চাইলে তারা তাদের ব্যবহৃত গামছা দিয়ে রনজিৎ কুমারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর একজন ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আরেকজন গ্রাম পুলিশ রনজিতের গলায় যে মাফলার ছিল সেটি ধরে টেনে হিঁচড়ে বিদ্যালয়ের ওয়াশ রুমের পাশে তার মৃতদেহ ফেলে রাখে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত মুক্তারের বাড়ী মধুখালীতে হলেও তার শ্বশুর বাড়ী বালিয়াকান্দির চর আড়কান্দিতে। স্থানীয় আরো যে দুজন ছিল তারা স্থানীয়। তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের নাম বলছি না। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সময়ের আলো/আরআই