ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

জরাজীর্ণ ভবনে খসে পড়ছে পলেস্তারা
প্রকাশ: বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৩:১০ এএম  (ভিজিট : ৪৯২)
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল দ্বিতল ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাধীনতার তিন বছর পর ১৯৭৪ সালে ছোট একটি ভবনে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয় সাময়িকভাবে। পরে ১৯৮২ সালে ৩১ শয্যার হাসপাতাল ভবনটি উদ্বোধন করা হয়। সবশেষ ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নে নির্মিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডের দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। পলেস্তারা খসে ভেতরের রড বের হয়ে এসেছে। বিধ্বস্ত অবস্থা দরজা ও জানালার। এ ছাড়াও রোগীদের জন্য নির্ধারিত সব শৌচাগারের অবস্থাই বেহাল। শৌচাগারের পানির কল দিয়ে সার্বক্ষণিক মেঝেতে পানি পড়তে পড়তে স্যাঁতসেঁতে ও পিচ্ছিল হয়ে গেছে। যেকোনো সময় পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয়ে রোগী ও তাদের সঙ্গে আসা স্বজনদের সাবধানে পা টিপে টিপে চলাফেরা করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমাইয়া ইয়াকুব বলেন, হাসপাতাল সংক্রান্ত মেরামত এবং সংস্কারের কাজ করে থাকে হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (এইচইডি)। ইতিমধ্যে হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে বলেছে, বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে হাসপাতাল ভবনের সংস্কার কাজে দেরি হচ্ছে। এ ছাড়া হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধি হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন। জেলা মাসিক সমন্বয় সভায় মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, বাজেট প্রাপ্তি মাত্র সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আকাশ, ইফরাত, বাদশাসহ কয়েকজন রোগী বলেন, হাসপাতালের অধিকাংশ শৌচাগারের দরজা-জানালার অবস্থা বিধ্বস্ত। হাসপাতালের দেয়ালে শেওলা জমে গেছে। ছাদ থেকে মাঝেমধ্যে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভয় লাগে, না জানি কখন যেন মাথার ওপর এসে পড়ে!
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালটি উপজেলার পৌনে দুই লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা। অসহায় ও গরিব লোকজন এই হাসপাতাল থেকে সেবা নিয়ে থাকেন। ভবনটি সংস্করণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলেও জানান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

সময়ের আলো/আরএস/








https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close