ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

কমে যাচ্ছে খাল-বিল জলাশয়
খাদ্য সংকটে ময়লার ভাগাড়ে বক
প্রকাশ: রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ২:৫৪ এএম  (ভিজিট : ৭০৪)
বকের প্রধান খাদ্য মাছ। এ ছাড়া ব্যাঙ, সাপসহ বিভিন্ন জলজ পোকা খেয়ে জীবনধারণ করে থাকে। বর্তমানে নদী-নালা ও খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বকের খাদ্যের সংকটে প্রজনন কমে গেছে। বাংলাদেশে সাধারণত কানিবক, সাদাবক, গো-বকসহ বেশ কয়েক প্রজাতির বক দেখতে পাওয়া যায়। 

চাঁদপুর শহরের প্রেস ক্লাব ডাকাতিয়ার পাড়ে আগে শত শত সাদা বক দেখা যেত; কিন্তু থাকার জায়গা ও খাদ্য সংকটে বিলুপ্তির পথে এসব সাদা বক। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে খাল-বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় খাদ্য সংকটে পড়েছে বক। তবে পরিবেশবিদ ও সচেতন মহল মনে করছে নদী-নালা, খাল-বিল, বনজঙ্গল সংরক্ষণ হলে রক্ষা করা সম্ভব দেশি এই বক। খাবার না পেলে অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এসব পাখি।
এদিকে বকের খাবার সংকটের কারণে জীবন বাঁচাতে ময়লার ভাগাড়ে খাদ্যের সন্ধান করছে জলচর এই পাখি। চাঁদপুর শহরের সবচেয়ে বড় ময়লার ভাগাড় স্বর্ণখোলা এলাকায় প্রতিদিন শত শত বক জীবন বাঁচাতে গ্রহণ করছে বিষাক্ত ময়লা-আবর্জনা। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ময়লা ফেলা হয় বিশাল জায়গাজুড়ে। আর এতে খাবারের খোঁজে আসে বকগুলো। ফেলে দেওয়া ময়লা-আবর্জনা আর নষ্ট পচা খাবার খেয়ে অবাধে বিচরণ করছে বিলুপ্ত এই বকগুলো।

বাসচালক ইসহাক মিজি বলেন, বাসস্ট্যান্ডের পাশেই এই ময়লার স্তূপ। প্রতিদিন সকালে এই স্থানে দলবেঁধে বকগুলো আসতে থাকে। আগে পুকুর কিংবা খালে এসব বক দেখতাম; কিন্তু এখন আর দেখি না। মূলত খাবারের খোঁজে তারা এই স্থানটি নিরাপদ মনে করছে। স্থানীয় বাসিন্দা জামাল বলেন, সারা জীবন জেনেছি বক মাছ-ব্যাঙ খায়। কিন্তু গেল কয়েক বছর ধরে দেখছি ময়লার এই ভাগাড়ে ঝাঁক বেঁধে বক খাবার খেতে আসে। আসলে আগের মতো খাল-বিল না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে ময়লার ভাগাড়ে আসে খাবারের সন্ধানে। 
পরিবেশ সংগঠক মতিন সৈকত বলেন, প্রকৃতি বাঁচলে, পরিবেশ বাঁচলে দেশ বাঁচবে। প্রকৃতির আমি উপকার না করি; কিন্তু আমার দ্বারা যাতে প্রকৃতির কোনো ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।

চাঁদপুর সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সুলতানা তৌফিকা আক্তার বলেন, নগরায়ণের কারণে এখন আর আগের মতো জলাশয় দেখতে পাওয়া যায় না। এর ফলে বকসহ অন্যান্য পশুপাখি খাদ্যের ঘাটতিতে পড়ছে। যে কারণে বাধ্য হয়ে তারা ময়লার ভাগাড় থেকে আবর্জনা খেয়ে জীবন ধারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা খুবই আশঙ্কাজনক বিষয়। তিনি জানান, ময়লার ভাগাড়ে অনেক বিষাক্ত পদার্থ মিশ্রিত থাকে। এর ফলে অনেক পশুপাখি মারা যাচ্ছে। তাদের বংশবিস্তার কমে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, মূলত পশুপাখি খাবার সংকটে থাকলে তারা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে টিকে থাকতে চায়। এটি প্রকৃতির জন্য ভালো কোনো লক্ষণ নয়।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close