প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৭:২৩ পিএম (ভিজিট : ৮৮৬)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে মিথ্যে অপহরণের নাটক সাজিয়ে বাবার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে হুমায়ুন কবীর বাবুকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। তবে অপহরণের নাটকের আর এক কুশীলব হাবিবুর রহমান পলাতক রয়েছে।
হুমায়ুন কবীর বাবুর বাড়ি সৈয়দপুর উপজেলার আরাজী হুগলী পাড়া গ্রামে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সৈয়দপুর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে সৈয়দপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কল্লোল দত্ত জানান, সৈয়দপুর উপজেলার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম। তিনি প্রবাসে চাকুরি করেন। তার ছেলে হুমায়ুন কবির বাবু (২০) রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী। সে মোবাইল থাই গেমে আসক্ত। এ খেলায় বাবু ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ওই ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে এ চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়ে বাবু। তার মা স্বামীকে ছেড়ে অন্য এক লোককে বিয়ে করে ঢাকায় থাকেন। এদিকে তার প্রবাসী বাবাও আরেকটি বিয়ে করেছেন।
ঘটনার আগের দিন বাবু সৈয়দপুর থেকে অটোতে করে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনে যায়। সেখানে নীলফামারী সদরের চাঁদের হাট এলাকার হাবিবুর রহমান নামে এক ছেলের সাথে পরিচয় হয়। কথা বলাবলির এক পর্যায় ঋণের টাকার বিষয়টি তাকে খুলে বলে।
বাবু তাকে প্রস্তাব দেয় একটি মিথ্যে অপহরণ নাটক সাজানোর। ওই নাটক সাজিয়ে বাবু তার বাবার কাছ থেকে টাকা আদায় করবে। তার একটি অংশ হাবিবুরকে দিবে।
এই সমঝোতায় হাবিবুর রহমান তার বাসায় বাবুকে নিয়ে যায়। সেখানে বাবুকে ৭ দিন গোপনে রাখে। এরই মধ্যে অপহরণ বিষয়টি তার বাবার কাছে জানানো হয়। এ কথা শোনার পর বাবুর বাবা নগদ ও বিকাশে কয়েক হাজার টাকা পাঠায়। পরে বিষয়টি সন্দেহজনক হলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি জিডি করা হয়।
সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে। এক পর্যায় মিথ্যে অপহরণকারীর হোতা বাবুকে উদ্ধার করা হয় হাবিবুর রহমানের বাসা থেকে। তবে এ সময় হাবিবুর পলাতক ছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতের মাধ্যমে বাবুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. শাহা আলম ও অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এস.এম সোহেল রানা।