ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

শীতে নরসুন্দরদের দুর্দিন, আয় নেমেছে অর্ধেকে
প্রকাশ: সোমবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪, ৪:৪৮ পিএম  (ভিজিট : ৫৬০)
টানা শীতে ভালো নেই গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার সেলুনের নরসুন্দররা। হিমেল ঠাণ্ডায় কমেছে তাদের কমেছে আয়-রোজগার। এতে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পড়ছেন ঋণের ফাঁদে।

এরই মধ্যে সাদুল্লাপুর শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নরসুন্দররা সেলুনে অলস সময় পার করছেন। তীব্র শীতে গ্রাহকের আনাগোনা কম থাকায় মাথায় হাত বুলিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

স্থানীয়রা জানায়, গেল কয়েক বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে এ বছরের তাপমাত্রা। এরই মধ্যে সাদুল্লাপুরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এতে শীতের কাবু জনজীবন। এ কারণে অনেকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আর এর প্রভাব পড়েছে সেলুনের নরসুন্দরদের ওপরে। এ উপজেলায় প্রায় ৫ শতাধিক সেলুনের মালিক-কর্মচারী যৌথভাবে এ পেশার সাথে জড়িত। পরোক্ষভাবে এ পেশার ওপর নির্ভরশীল। তীব্র শীতে কমেছে তাদের গ্রাহক। অধিকাংশ মানুষ বিলম্বে চুল কাটা ও শেভ করে নিচ্ছেন। কেউ কেউ বাড়িতে নিজেরা শেভের কাজ সারছেন। তাই বিপাকে পড়ছেন নরসুন্দররা। এতে করে পরিবার-পরিজনের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা।   

আজাদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, শীতের দাপটে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। এ কারণে খুব দেরিতে চুল কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর  সপ্তাহে দু’দিন শেভ করে নিলেও শীতের কারণে নিচ্ছেন একদিন। তাও কখনো নিজেই বাড়িতে সারছেন।

তীব্র শীতে অনেকটা কাজ কমেছে বলে জানিয়েছেন নরসুন্দর এনামুল হক ভুট্রু। তিনি বলেন, আগে দৈনন্দিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা রোজগার করছিলাম। এবার টানা শীতের কারণে সেই রোজগার নেমেছে অর্ধেকে। এতে করে কোনমতে সংসার চালাচ্ছি।

সাদুল্লাপুর শহরের হেয়ার কাটিং সেন্টারের কর্মচারী বাদশা মিয়া বলেন, কনকনে ঠাণ্ডায় যবুথুবু অবস্থায় মানুষেরা। তাদের চুল-দাড়ি বড় হলেও সেলুনমুখো হচ্ছে না। অনেকে শেভের কাজ বাড়িতে সারছেন। কেউ বা দেরিতে চুল-শেভ করে নিচ্ছেন। ফলে কমেছে রোজগার। আর অর্থ সংকটে ধারদেনা করে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

সেলুনের নজরুল ইসলাম নামের এক নরসুন্দর জানান, আগে সেলুনে কাজ করে সংসারের খরচ বাদে কিছু স য়ও করতেন। কিন্তু টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। স্থানীয় দুইটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন কিন্তু কিস্তি দিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় শীত দুর্যোগের কবলে খুব ক্ষতির মধ্যে রয়েছি। এ ব্যাপারে সরকারি সহায়তা পেলে উপকৃত হতাম।

সময়ের আলো/আরআই



আরও সংবাদ   বিষয়:  তীব্র শীত   নরসুন্দরদের দুর্দিন   সাদুল্লাপুর   গাইবান্ধা  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close