ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত
হিলিতে মরে যাচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা
সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে হতাশ কৃষক
প্রকাশ: সোমবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪, ৪:২০ এএম  (ভিজিট : ৪৪০)
ঘন কুয়াশা ও চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন হিলির কৃষকরা। আগাম বীজতলা তৈরি করলেও ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের প্রভাবে বিবর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে বোরো ধানের বীজতলার চারা। এ কারণে সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। অন্যদিকে বোরো চারা নষ্ট যাতে না হয় সে জন্য কৃষকদের সব ধরনের পরার্মশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান, উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এবার প্রায় ৩৮২ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষকরা। বোরো চারা নষ্ট যাতে না হয় এবং বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে কৃষকদের সব ধরনের পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অধিদফতর।

খাদ্যশস্যের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের হিলিতে বোরো রোপণ করতে প্রস্তুত করা হয়েছে বোরো বীজতলা। আমনের ফলন ভালো হলেও আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় ইরি-বোরো ধানের ভালো ফলন আর ভালো দামের আশায় আগেভাগেই বীজতলা তৈরির কাজ সেরে ফেলেন এখানকার কৃষকরা। কিন্তু ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা ও তরতাজা চারাগুলো বিবর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে। অনেক কৃষক চারা রক্ষার্থে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন বীজতলা। কীটনাশকও প্রয়োগ করছেন কেউ কেউ। কিন্তু কোনো কিছুতেই মিলছে না সুফল। এমন অবস্থায় সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে হাতাশায় ভুগছেন কৃষকরা। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের তেমন দেখা মিলছে না। আবার কখনো দেখা মিললেও সেই রোদের তীব্রতা তেমন একটা নেই। তার সঙ্গে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ইরি-বোরো ধানের বীজতলা। অধিকাংশ বীজতলার বীজগুলো হলুদ ও লালচে বর্ণের হয়ে মরে যাচ্ছে।

উপজেলার বাওনা গ্রামের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বীজতলায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো ফল পাচ্ছি না। এতে করে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। জালালপুর গ্রামের কৃষক আবদুল মজিদ বলেন, আমি প্রায় ১০ বিঘা জমির জন্য বীজতলা প্রস্তুত করেছি। কিন্তু ঘন কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ইরি-বোরো ধান লাগানো নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।

জাংগই গ্রামের কৃষক মহিদুল বলেন, প্রতিদিন সকালে বীজতলা থেকে কুয়াশার পানি ফেলে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে কীটনাশক স্প্রে করছি। তারপরও বীজতলার চারা মরে যাচ্ছে। এতে আমি চরম বিপাকে পড়েছি। একই সঙ্গে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলার চারা লালচে হয়ে মরে যাচ্ছে।

সময়ের আলো/আরএস/ 






https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close