প্রকাশ: শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:২৫ পিএম  (ভিজিট : ৫৮২)

পরিকল্পনাবিদরে সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) বলেছে, রাজধানীসহ বিভাগীয় কিছু শহরে পরিকল্পিতভাবে কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হলেও জেলা-উপজেলা শহরে কিছুই হচ্ছে না। সেখানে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র শিল্পায়নসহ নানা অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু পরিকল্পনা করা হলেও সেটা কাজে দিচ্ছে না। এসব পর্যায়ে সরকারের পরিকল্পনা বিভাগ তৈরি না হওয়াই মূল কারণ। 

একইসাথে জাতীয় পরিকল্পনা কাঠামো, আঞ্চলিক পরিকল্পা এবং স্থানীক পরিকল্পনা দরকার। তাহলেই দেশের টেকসই উন্নয়ন হবে। এবং ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহজ হবে বলে মনে করে বিআইপি।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে বাংলাদেশ স্থানীয় পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন: আগামীর চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিআইপি সভাপতি ড. আদিল মোহাম্মদ খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

এর আগে লিখিত বক্তব্য ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, সরকারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারি দলের দু’টো বিশেষ অঙ্গীকার ছিল। এরমধ্যে ‘আমার গ্রাম: আমার শহর’ অন্যটি ‘স্থানীয় সরকার: জনগণ ক্ষমতায়’। একইসাথে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সরকারি দলের ইশতেহার ছিল ‘উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ’। সরকারের ইশতেহারগুলো তুলে ধরেন এবং বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ তুলে ধরেন।

লিখিত বক্তব্য একাদশ নির্বাচনে সরকারি দলের ইশতেহার পর্যবেক্ষণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে ‘আমারে গ্রাম-আমার শহর ও স্থানীয় সরকার ও জনগণের ক্ষমতায়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রতিটি গ্রামের মধ্যে শহরের মতো সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার কথা থাকলেও তার কোন কাজই বাস্তবায়িত হয়নি। বরং অপরিকল্পতা কার্যক্রমের ফলে গ্রাম অঞ্চলে মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিকল্পনাহীন শিল্পায়নের ফলে মানুষের উপকারের ফলে আরো বেশি ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার অন্যতম কারণ দেশের পরিকল্পনা বিভাগ তৈরি না হওয়া। যারা এসব প্রকল্পের কাঠামো তৈরী করবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে রোড ম্যাপ তৈরি করে দিবে।

বিআইপি সভাপতি বলেন, সমৃদ্ধ দেশ করার লক্ষ্যে এবং পরিকল্পনা পেশার বিবেচনা নিয়ে ইনস্টিটিউট ইনস্টিটিউট অফ প্লানার্স বাংলাদেশের জন্য স্থানিক পরিকল্পনা কাঠামো প্রণয়ন করেছে। বিআইপি প্রণীত এই স্থানিক পরিকল্পনা কাঠামো পরিকল্পনা ২০৪১, বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ সহ দেশের জাতীয় পরিকল্পনা ও নীতিতে পরিকল্পনায় যথাযথ অনুশীল ও প্রয়োগ নিশ্চত করতে কর্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।

বিআইপি সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আহসানের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনাবিদ আবু নাঈম সোহাগ, সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, ফাহিম আবেদীন, তামান্না বিনতে রহমান, হোসনে আরা প্রমুখ।

সময়ের আলো/এম