ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

দেশে দ্বিতীয়বার অঙ্গদান: একজনের কিডনিতে বাচঁলো দুইজনের প্রাণ
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪, ৭:৩৮ এএম  (ভিজিট : ৫২৮)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দ্বিতীয় বারের মত ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট  পদ্ধতিতে মৃত (ব্রেইন ডেড) মানুষের কিডনি দুইজন মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন হয়েছে।

জানা গেছে, ৩৮ বছর বয়সী মো. মাসুম আলমের কিডনি দুইজন কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। তাদের মধ্যে একটি কিডনি গ্রহণ করেন রাজধানীর  মহাখালীর মোসাম্মৎ  তাহমিনা ইয়াসীন। তার বয়স ৪৯ বছর। অপরটি গ্রহণ করেন  ভোলার জাকির নামের এক রোগী।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি)  রাত ৯ টায়  থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দুইটি কিডনির মধ্যে একটি প্রতিস্থাপন হয়। এখানে মহাখালীর মোসাম্মৎ  তাহমিনা ইয়াসীনের দেহে প্রতিস্থাপন করা  হয়। 

অপরদিকে,  দ্বিতীয় ক্যাডাভেরিকটি কিডনী  ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইন্সটিটিউটে ভোলার জাকির নামের এক রোগীর দেহে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারটায়  কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।

 বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাকার কামরাঙ্গীচরের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী মো. মাসুম আলম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিককেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিউতে ব্রেন ডেথ হন। তার অভিভাবকরা তাকে ক্যাডাভার হিসেবে অঙ্গদানের সম্মতি প্রদান করেন।

মো. মাসুম গত চারমাস যাবৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবিন,  ওয়ার্ড, এইচডিইউ, আইসিউতে ভর্তি ছিলেন। এই ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের প্রধান সার্জন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। ক্যাডাভেরিকট ট্রান্সপ্লান্টের শুরুতে  বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ কেবিন ব্লকের ওটিতে আসেন এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও  মো.  মাসুমের পরিবারের সদস্য ও গ্রহীতার স্বজনদের সাথে কথা বলেন।  

এ সময়  মো.  মাসুমের পরিবারের সদস্যরা  তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান। এর আগে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউতে প্রথমবারের মতো একজন মৃত মানুষের শরীর থেকে কিডনি নিয়ে তা অন্য দুইজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।

সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে ১৮ জানুয়ারি ‘ব্রেইন ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতেই তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুইজন নারীর শরীরে। এছাড়া, সারাহের চোখের কর্নিয়া আরও দুইজনকে দেওয়া হয় । চোখের কর্নিয়া পেয়ে সেই দুই রোগী এখন পৃথিবীর আলো দেখছেন।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close