ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

হবিগঞ্জে তীব্র শীতে খোলা আকাশের নীচে চলছে পাঠদান
প্রকাশ: বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪, ১২:২০ পিএম  (ভিজিট : ৯২০)
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের টঙ্গীরঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তীব্র হাড় কাপানো শীতে খোলা আকাশের নীচে ক্লাস করছে। ২বছর পূর্বে ভবনটি ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যামান কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। ফলে রোদ বৃষ্টি আর প্রচন্ড শীতের মধ্যে স্কুল মাঠে চলছে পাঠদান। অপরদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রকৌশল বিভাগের সাথে কয়েকদফা আলোচনা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে অস্থায়ী ঘর নিমার্ণ করা হবে।

টঙ্গীরঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ভবন শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ ১৯৯৪ সালে নিমার্ণ করে। এই বিদ্যালয়ে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত মোট ১৮১জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছে। মোট শিক্ষক সংখ্যা ৪জন।

সরেজিমন দেখা যায়, স্কুলের বিভিন্ন কক্ষে ছাদ ও ভিম ভেঙ্গে খন্ড খন্ড হয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন অংশে রড বের হয়ে গেছে। যেকোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান শিক্ষক ও স্থানীয়রা। অপরদিকে তীব্র শীতের মধ্যে শিশুরা স্কুলের মাঠে খোলা আকাশের নীচে বসে আছে। অনেক শিশুর গায়ে শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় নেই। এভাবেই চলছে দিনের পর দিন পাঠদান।

শিশুরা বলছে, প্রচন্ড শীতে খোলা মাঠে বসে পড়তে তাদের কষ্ট হয়। আবার স্কুলের ভিতরে বসে ক্লাস করতে ভয় লাগে। কখন ছাদ থেকে সিমেন্টের কংক্রিট ভেঙ্গে মাথার উপর পড়ে। এই ভয়ে আমরা সব সময় থাকি। আর শিক্ষকরা বলছেন- আমরা সব সময় শিশুদের নিয়ে চিন্তায় থাকি, কখন কোন দূর্ঘটনা ঘটে।

পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র আতাব আলী জানায়, ২বছর থেকে ভয়ে ভয়ে স্কুলে আসি। শ্রেনী কক্ষে যাইনা ভেঙ্গে পড়া ভয়ে। তাই ঠান্ডা শীতের মধ্যে স্কুলের মাঠে বসে ক্লাস করছি। কয়েকদিন থেকে বেশী ঠান্ডায় পড়ার কারণে হাতে কলম ধরে লিখতে পারিনা।

দ্বিতীয় শ্রেনীর একজন শিক্ষার্থীর অভিবাবক ফাতেমা বেগম জানান, আমি আমার মেয়েকে প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে আসি। তাকে খোলা আকাশের নীচে ক্লাসে দিয়ে মাঠের একপাশে বসে থাকি। আমরা অভিবাবকরা বেশ কয়েকবার প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করেছি একটা ব্যবস্থা করার জন্য। এখন পর্যন্ত কোন সমাধান হয় নাই।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক নেপাল চন্দ্র তালুকদার জানান, আমরা বেশ কয়েকবার উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বিষয়টি অবগত করেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করে গেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্থায়ী কোন সমাধান হয় নাই। যেভাবে বিল্ডিং এর কংক্রিট পড়ছে যদি কোন সময় শিশুদের মাথার উপর পড়ে তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই ভয়ে আমরা স্কুলের মাঠে ক্লাস নিচ্ছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মাওলা জানান, স্কুল ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা অধিদপ্তরের সাথে আলোচনা করেছি। বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে আলাদা একটি টিন সেডের ঘর নিমার্ণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে নিমার্ণ কাজ শুরু হবে।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close