ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

তীব্র শীতে বিপাকে কৃষিশ্রমিকরা
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:২৩ এএম  (ভিজিট : ৫৬২)
হবিগঞ্জে হাড় কাঁপানো শীতে দৈনিক চুক্তিতে কাজ করা কৃষিশ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। গত কয়েক দিনের ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় তাদের জীবনযাত্রা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। একদিন কাজ করলে দুই দিন তাদের বসে থাকতে হয়। হাওর অঞ্চলে বোরো ধান আবাদের মৌসুমে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা যেন জমে যায় বলে তারা জানান। আবার অনেক ভাসমান শ্রমিককে ভোরবেলায় কাজের সন্ধানে বের হয়ে প্রায়ই খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এ কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা চরম উদ্বিগ্ন। অপরদিকে কিছু নারী কৃষিশ্রমিককে কুয়াশা ভেঙে কাজে যেতে দেখা যায়। তারাও দল বেঁধে মাঠে ধান রোপণের কাজ করেন।

সোমবার সকালে সুবিদপুর ও রত্না বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন কৃষিশ্রমিক ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডায় বাতাসের মধ্যে জবুথবু হয়ে বসে আছেন। তারা হাওরে কাজ করার জন্য এসেছেন। কিন্তু তখন পর্যন্ত কেউ না আসায় তাদের চোখে-মুখে হতাশা। তারা বললেন, শনিবারে কাজ করেছি। আজ মনে হয় খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হবে। আবার অনেককে দল বেঁধে মাঠে কাজ করতেও দেখা গেল। তারা জানালেন, যখন তারা কাজ পান তখন ৬-৭ জন একসঙ্গে মিলে কাজ করেন।
 
রত্না বাজারে কৃষিশ্রমিকদের দলনেতা ফরিদ মিয়া বলেন, আমরা পাঁচজন একসঙ্গে কৃষিজমিতে কাজ করি। একদিনে চুক্তিভিত্তিক প্রায় এক কের (৩০ শতক) জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে পারি। প্রতি একর জমিতে চার হাজার টাকার মতো মজুরি পাই। তবে এখন তীব্র শীতের কারণে মাঠে কাজ করতে পারি না, হাত-পা জমে যায়। আবার প্রতিদিন কাজও পাই না। কাজ না পেলে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। তীব্র শীত আসার পর থেকে নিয়মিত কাজ না পাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দোকানে বাড়ছে ঋণের বোঝা। 

সুবিদপুর মাঠে কাজে যাওয়ার পথে কথা হয় চল্লিশোর্ধ্ব নারী কৃষিশ্রমিক ধরণী দাসের সঙ্গে। তিনি জানান, তার স্বামী মারা গেছেন তিন বছর আগে। চার সন্তান নিয়ে সংসারের হাল ধরে আছেন তিনি। বর্ষা মৌসুমে নৌকা দিয়ে মাছ ধরেন আর কৃষিকাজের সময়ে মাঠে কৃষিকাজ করেন। এভাবেই চলছে তার জীবন। যেদিন কাজ থাকে না, সেদিন অনেক ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাকে।

রত্না বাজারে হোটেলের বাইরে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বসে থাকা দিনমজুর ছবির মিয়া (৫৫) বলেন, একদিন কাজ করার পর দুইদিন সর্দি-জ্বর নিয়ে অসুস্থ ছিলাম। আজ (সোমবার) জ্বর কমে যাওয়ার কারণে কাজের জন্য এসেছি। এখন পর্যন্ত কাজ না পাওয়ায় বসে বসে চা খাচ্ছি। যারা জমির মালিক তারা কেউ এখনো আসে নাই। পকেটে ২০ টাকা আছে। কাজ না পেলে এক প্যাকেট বিড়ি কিনে বাড়ি চলে যাব।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close