ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ভূমিহীনকে উচ্ছেদ চেষ্টায় দুই ইউপি সদস্য কারাগারে
প্রকাশ: সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪, ৫:৪৯ এএম আপডেট: ২২.০১.২০২৪ ৫:৫০ এএম  (ভিজিট : ৭৬৭)
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল্লাহ খালেদ ও নিজাম উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রফিক উল্যা (৫৪) নামে ভূমিহীন এক বৃদ্ধকে খাস জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা ও ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আদালতের বিচারক ভিক্টোরিয়া চাকমা এ নির্দেশ দেন।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে আদালতের জিআরও প্রদীপ শীল এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নুরুল্লাহ এজাহাভুক্ত আসামি ছিলেন। মামলার তদন্তে নিজামের নামও এজাহারভুক্ত হয়। তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

গ্রেফতার নুরুল্লাহ চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহর ছেলে ও পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের প্যানেল চেয়ারম্যান। আর নিজাম একই ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য। মামলার বাদী রফিক চরকাদিরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডর দক্ষিণ চরকাদিরা গ্রামের বাসিন্দা।

এজাহার সূত্র জানায়, রফিক ভূমিহীন। এতে তাকে দক্ষিণ চরকাদিরা মৌজার দিয়ারা খতিয়ানের ৪৭৭ দাগে ৫ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেয় সরকার। আরও কিছু জমিসহ প্রায় ১৭ বছর ধরে তিনি সেখানে বসবাস করে আসছেন। পাশেই ৯৪৫ দাগে আরও ৩২ শতাংশ জমি বন্দোবস্তের জন্য তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। মামলার ১নং আসামি আজিজুল হকসহ অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে আসছে। আর ওই জমিতে থাকতে হলে তারা রফিকের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট ঘটনাস্থল গিয়ে তারা চাঁদা দাবি করে। প্রতিবাদ করলে তাকে ওইদিন মারধর করা হয়। তখন তার ঘরে থাকা এনআইডি কার্ড ও বয়স্ক ভাতার বই নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ঘটনাটি ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল্লাহকে জানান তিনি। এতে নুরুল্লাহ ঘটনাটির বিচার করবেন জানিয়ে ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিনসহ কয়েকজনের মাধ্যমে রফিকের কাছ থেকে অলিখিত নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। একই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সালিশি বৈঠকেই অভিযুক্তরা বাদীর সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা বাদীকে চাঁদা না দিলে শান্তিতে থাকতে দেবে না বলে হুমকি দেয়। এ সময় বাদীকে গ্রামছাড়াসহ খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহকে ফোন করা হলেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মোবাইল ফোন রেখে বাড়িতে চলে গেছেন বলে জানান সেখানে দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি।

সময়ের আলো/আরএস/ 






https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close