আবারও কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মাঘের শুরুতে ঘন কুয়াশার সাথে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। গত দুই দিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আজ কমেছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় বিকাল পর্যন্ত বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে।
আজ (রোববার) সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। গতকাল (শনিবার) তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আজ তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শীত নিবারণে জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৭০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা সদরের ত্রীমোনী এলাকার বাসিন্দা নছিমন বেগম বলেন, আজকে ঠাণ্ডা এতো বেশি বাবা, এক-আদটা কম্বলও কাইয়ো দেয় না। খুব সমস্যাতে আছি। এই সময়োত কম্বল পাইলে হামার খুব উপকার হইবে বাহে।
পৌরসভার নাজিরা এলাকার রহমত আলী বলেন, দুই দিন থাকি এখনা রোদ পাইলন। আজ একেবারে সূর্যের মুখ দেখলেন না। ঠাণ্ডায় জীবন শ্যাষ হ্যায়া গেল।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ (রোববার) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
সময়ের আলো/আরআই