ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

সরকারি বরাদ্দের টাকা নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ
সেবা নিয়ে অসন্তোষ রোগীদের
প্রকাশ: রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪, ২:৪৯ এএম আপডেট: ২১.০১.২০২৪ ৭:৫৪ এএম  (ভিজিট : ৪৭৫)
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে খোদ হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম দিন দিন ভেঙে পড়ছে। নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে এই হাসপাতাল। সবমিলিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের মধ্যে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাত-দিন রোগীদের সেবা নিশ্চিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা থাকলেও এই হাসপাতালের একটি ভবনে গত তিন মাস ধরে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তাও। গত তিন মাস ধরে হাসপাতালের দুটি ভবনের মধ্যে একটিতে বিদ্যুৎ না থাকায় রাতের বেলায় রোগীদের থাকতে হচ্ছে অন্ধকারে। মোমবাতি ও মোবাইলের আলো দিয়ে সারতে হচ্ছে রোগীদের চিকিৎসা। এতে করে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা পুরোপুরি বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। রোগীদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেওয়াও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলেও জ্বালানি খরচের সংকটের দোহাই দিয়ে সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ভবনটির পুরো বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ পুড়ে যাওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের পাটোয়ারী। তিনি বলেন, আমি যোগদান করার পর এই হাসপাতালের সৌন্দর্য অনেকটাই বেড়ে গেছে। পুরো হাসপাতাল চত্বর এখন ঝকমক করছে। হাসপাতালের আধুনিকায়নে অনেক কাজ হয়েছে। রোগীদের সেবার মানও আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। সরকারি বরাদ্দের টাকা যথাযথভাবে ব্যবহারের কারণে কয়েকটি নতুন ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে এটি ঠিক যে, বিদ্যুতের বিষয়টিতে কিছুটা অবহেলা হয়েছে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক সূত্র দাবি করেছে, হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণেই এসব সমস্যা তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে সরকারি লাখ লাখ টাকা বরাদ্দের বিপরীতে কাজ দেখিয়ে তিনি নয়ছয় করছেন। সরকারি উন্নয়নের বরাদ্দের টাকায় নামকাওয়াস্তে কাজ করে নিজের নামে ঢাকঢোল পেটাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার একক প্রভাবে হাসপাতালে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসবের পেছনে অফিস সহকারী মোহাম্মদ জাকির হোসেনও জড়িত। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডে হাসপাতালের বিভিন্ন দায়িত্বশীলরাও রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু রোগীসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। সরকারি হাসপাতালে 
যথাযথ সেবা না পেয়ে বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ছুটতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অনুমোদনহীন অসংখ্য ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। 
এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগেরই নেই কোনো অনুমোদন। প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণের নামে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অনুমোদনহীন অসংখ্য ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গড়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত একটিতেও অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close