পল্লী চিকিৎসকসহ গৃহবধূর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ, আটক ২
প্রকাশ: শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪, ৫:৩৬ পিএম (ভিজিট : ৫৮৬)
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পল্লী চিকিৎসকের সাথে রোগীর মায়ের সাথে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি করায় মো. রুহুল আমিন (৩৫) ও মো. আফনান হোসেন শুভ (২০) নামে দুই জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আটককৃত রুহুল আমিন দেবীপুর গ্রামের নোমান হুজুরের বাড়ির মৃত আহাম্মদ উল্যাহর ছেলে ও মো. আফনান হোসেন শুভ একই গ্রামের আবদুর রহমান মিস্ত্রি বাড়ির মো. হারুনের ছেলে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে নেয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীপুর গ্রামের কালা মিয়া মুন্সি বাড়ির সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
এসময় তাদের কাছ থেকে ধারণকৃত আপত্তিকর (পর্নোগ্রাফি) ভিডিওসহ দুটি মোবাইল ফোন, চাঁদাবাজির নগদ ১০ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ জানান, অভিযোগকারী পল্লী চিকিৎসক মো. ইউসুফ সজিব গত ৩ ডিসেম্বর রাতে ফার্মেসি থেকে ফেরার পথে প্রতিবেশী গৃহবধূর (১৯) অসুস্থ ছেলের জন্য ঔষধ দিতে যায়। এ সময় এলাকার বখাটে আফনান হোসেন শুভ, মো. রুহুল আমিন ও মো. সোহেলসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জন সেখানে গিয়ে চিকিৎসক ও গৃহবধূকে আটক করে ও ভয় দেখিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে।
পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে দফায় দফায় চার লাখ ১১ হাজার টাকা আদায় ও তিন আনা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল নেয় বখাটেরা ।
ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বখাটেরা আরও চাঁদা দাবি করলে পল্লী চিকিৎসক মো. ইউসুফ সজিব জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। জেলা পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা শাখাকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন। পরে ডিবির উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় পর্নোগ্রাফিসহ চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সময়ের আলো/আরআই