ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

আতঙ্কে ১২ গ্রামের ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ
বৈঠাখালী ব্রিজ যেন মরণফাঁদ
প্রকাশ: শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪, ৪:১৭ এএম  (ভিজিট : ৫১৮)
কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলাধীন পুমদী ইউনিয়নের নারায়ণডহর-নিমুখালী বাজার সড়কের ওপর বৈঠাখালী ব্রিজটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে! পুমদী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত ব্রিজটির এক পাশে নেই কোনো রেলিং। অন্যপাশে রেলিং থাকলেও সেটির অবস্থাও জরাজীর্ণ। ব্রিজের বেশিরভাগ পিলারের পলেস্তারা খসে গেছে, বেরিয়ে এসেছে রড। যেকোনো সময় ব্রিজ ভেঙে পড়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। 

যান চলাচলের জন্য বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজ দিয়েই চরম আতঙ্ক নিয়ে যাতায়াত করেন ১২ গ্রামের ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। নড়বড়ে ব্রিজটি দিয়ে হালকা যানের পাশাপাশি ট্রাক্টরের মতো ভারী যানও চলাচল করে। প্রায় তিন যুগ আগে নির্মিত হয়েছিল ব্রিজটি। এখন এটি চলাচলের জন্য প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পুমদী ও গোবিন্দপুর-এই দুই ইউনিয়নের জনসাধারণের জীবন-জীবিকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী গালিব মুর্শেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আশার কথা জানান তিনি। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। বর্তমানে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দেন এই সরকারি কর্মকর্তা।

সরেজমিন তথ্য সংগ্রহকালে কথা হয় পুমদি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শামছুল আলমের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মনে আতঙ্ক, ভয় আর চরম ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ব্রিজটির ওপর দিয়ে স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করছে। হালকা যানের পাশাপাশি ভারী অনেক যানবাহনও চলাচল করছে নড়বড়ে ব্রিজটির ওপর দিয়ে। কোনো ভারী যান ব্রিজটিতে উঠলেই ব্রিজটি এমনভাবে কাঁপতে থাকে যে, মনে হয় এই বুঝি ভেঙে পড়ল সেটি। ব্রিজটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছি। 

পুমদী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়ন মিয়া জানান, সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে সাইকেল চালিয়ে এই বৈঠাখালী ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। ব্রিজটির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় আমরা খুব ভয়ে ভয়ে থাকি। স্কুলে পাঠানোর পর অভিভাবকরাও আমাদের নিয়ে ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে থাকেন।

স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্রিজটির ওপর দিয়ে চলাচলের সময় খুবই ভয়ে থাকতে হয়। কখন যে এটি ভেঙে পড়ে বলা যায় না! এমন আশঙ্কা আর আতঙ্ক নিয়েই বৈঠাখালী ব্রিজ পাড়ি দিয়ে জেলা ও উপজেলা সদরে নিয়মিত যাতায়াত করছেন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।

সময়ের আলো/আরএস/ 










https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close