প্রকাশ: বুধবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪, ২:৪২ এএম (ভিজিট : ৩৬২)
ঈশ্বরগঞ্জ পৌরশহর ও বিভিন্ন ইউনিয়নে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে অটোরিকশার দাপট। যত্রতত্র স্ট্যান্ড আর যাত্রী ওঠানামা করায় সড়কে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা। পৌরশহরের ওপর দিয়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ এবং ঈশ্বরগঞ্জ-আঠারবাড়ি সড়কের বাজারের অংশ যেন পুরোটাই পরিণত হয়েছে অটোস্ট্যান্ডে। অটোরিকশাগুলো বিশৃঙ্খলভাবে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকার কারণে পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছাত্তার বলেন, আয়তনে ছোট এই পৌরসভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অটোরিকশা প্রবেশ করে। এগুলো যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটে পৌরবাসীর দুর্ভোগ বাড়ছে। লাইসেন্সবিহীন চালকরা এসব রিকশা চালানোর কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা না পাওয়ায় বাজারের কাছ থেকে অটোস্ট্যান্ড সরানো যাচ্ছে না। ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও যানজট নিয়ন্ত্রণে কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯২টি অটোবাইক ও ২২৩টি ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, এর চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি অটোরিকশা চলাচল করছে এ এলাকায়। হাতের নাগালে অটোরিকশার মূল্য এবং অবাধে চার্জ করার সুবিধা থাকায় যারা খেতে খামারে কাজ করতেন তারা অনেকেই এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই অটোরিকশা চালাচ্ছেন। এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্করাও কম পরিশ্রমে বেশি উপার্জনের আশায় হাত রাখছে স্টিয়ারিংয়ে। কোনো ধরনের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে রাস্তায় চলাচল এবং অনভিজ্ঞ চালকদের কারণে ক্রমেই বেড়ে চলেছে দুর্ঘটনা। উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ নির্দেশনায় অটোরিকশার ডান পাশ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও বেশির ভাগ অটোরিকশায় মানা হচ্ছে না এই নিয়ম। স্বল্প শ্রমে অধিক রোজগারের কারণে ক্রমেই বেড়ে চলেছে অটোরিকশার দাপট।
অটোরিকশার চালক সুজন মিয়া বলেন, একটা সময়ে পা দিয়ে প্যাডেল মেরে রিকশা চালিয়েছি। কিন্তু এখন চাহিদা বিবেচনা করে বাধ্য হয়েই অটো কিনেছি। অটো চালিয়ে যে আয়-রোজগার হয় তা দিয়ে সংসার চলে যায়।
সময়ের আলো/জিকে