ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

রোজায় ভোগাবে ৬ পণ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত উদ্যোগ নিন
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪, ৩:০৬ এএম  (ভিজিট : ৫১৮)
রমজান শুরু হতে বাকি প্রায় দুই মাস। ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে বিশ্বের অনেক দেশে ভোগ্যপণ্যের দাম কমে গেলেও বাংলাদেশে তা দেখা যায় না। ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা রমজান মাস এলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটবে বলে মনে হচ্ছে না। ভোগ্যপণ্যের বাজার বর্তমানে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণহীন। চালের বাজার অস্থির। ভোজ্য তেলের দাম ক্রেতাদের নাগালে নেই। বেড়েই চলেছে চিনির দাম। মাছ, মাংস ও মুরগি কিছুটা সহনীয় ছিল এতদিন। নতুন করে এসব পণ্যের দামও বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ১০০ টাকা। ডিমের বাজারও অস্থির। মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। সব ধরনের পণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কষ্ট বেড়েছে ক্রেতাসাধারণের।

দৈনিক সময়ের আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার স্থিতিশীল রাখতে অভ্যন্তরীণ পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানি করা পণ্যেরও মজুদ বাড়াতে হয়। এ জন্য রোজার প্রায় তিন থেকে ছয় মাস আগে থেকে পণ্য আমদানির প্রস্তুতি নিতে হয়, এলসি খুলতে হয়। ডলার সংকটের কারণে এবার রোজার পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলার ক্ষেত্রে চরম বিঘ্ন ঘটছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী এলসি খোলা যাচ্ছে না, তাই পণ্য আমদানিও কম হবে। আর এ কারণে আগামী রোজায় দেশের মানুষকে বেশ ভোগাতে পারে ছয় পণ্য। এই পণ্যগুলোর সবই মূলত আমদানি করা। পণ্যগুলো হলো- চিনি, ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল ও খেজুর। 

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন করে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। রোজার মাস এলেই ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, চিনি ও খেজুর ভোজ্য তেলের মতো বেশি ব্যবহৃত পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণ। এই বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দেয় পণ্যের দাম। 

এ বিষয়ে ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান সময়ের আলোকে বলেন, গত এক-দেড় বছর ধরেই দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার বেসামাল অবস্থায় আছে। কি খাদ্যপণ্য, কি খাদ্যবহির্ভূত পণ্য- সবকিছুরই দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। দাম বৃদ্ধির এই প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পর গত এক সপ্তাহে নতুন করে চালসহ আরও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। রোজায় যে ছয়টি পণ্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে দেশের মানুষ, তার মধ্যে পেঁয়াজ ব্যতীত আর কোনো পণ্যের মজুদ সন্তোষজনক নয়। তারপরও পেঁয়াজে বর্তমান দাম ক্রেতাদের কষ্ট দিচ্ছে। রোজায় তা আরও বেড়ে যাবে ধরে নেওয়া যায়। 

রমজানে যে ছয়  পণ্যের চাহিদা বেশি সেগুলো আমদানি এবং মজুদ বাড়ানো দরকার। তার জন্য চাহিদা মতো এলসি খোলার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ওইসব ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা না থাকে। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জোরালো কার্যকর পদক্ষেপ এখনই প্রয়োজন। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দাম বাড়াতে না পারে, সে জন্য বাজারে নজরদারি এখন থেকেই জোরদার করা হোক- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close