ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

শীতের তীব্রতা বেড়েছ ফরিদপুরে, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
প্রকাশ: রবিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯:০৪ পিএম  (ভিজিট : ৫০৬)
কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ সারা দেশে প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার সঙ্গে হিম শীতল বাতাসের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ যুক্ত হয়ে শীতকে আরও তীব্রতর করে তুলেছে। তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে এক অঙ্কের ঘরে তথা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। অর্থাৎ কনকনে শীত জেঁকে বসেছে দেশজুড়ে।

দেশের অন্যান্য জেলার মতো ফরিদপুরেও কুয়াশা ও প্রচণ্ড শীতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হিম শীতল বাতাস যা জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু,বৃদ্ধা ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য এই শীত খুবই যন্ত্রণা ও কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে।

ফরিদপুর জেলায় কয়েক দিন যাবত সূর্যের দেখান মিলছেই না বললে চলে। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনেও শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে। ফরিদপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা এ অঞ্চলের মানুষের জন্য অসহনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণাদায়ক হচ্ছে কারণ এ অঞ্চলের মানুষ এমন শীতে অভ্যস্ত নয়।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কৃষক সোবাহান ফকির (৬৭) বলেন, এখন ধান ও পেঁয়াজ ও কালিজিরা চাষাবাদের সময় কিন্তু তা পরিচর্যার জন্য টাকা দিয়েও শীতের তীব্রতা জন্য শ্রমিক পাচ্ছিনা। এ নিয়ে আমার মতো অনেক কৃষকই বিপাকে আছে যে কারণে ফসলের ভালো ফলন নিয়ে আমারা চিন্তিত।

দিন এনে দিন খাওয়া ভাঙ্গার ভ্যান চালক সহিদ শেখ (৪৮) বলেন, ৫ জনের সংসার ভ্যান চালিয়ে যে উপার্জন করি তা দিয়ে সংসারের খরচ চালাতে কষ্ট হয়। তার উপরে যে শীত পড়ছে ভ্যান নিয়ে বের হলে হাতে-পায়ে বোধ থাকে না। ধার দেনা করে সংসার চালাচ্ছি।

ফরিদপুরে হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শীত ও ঠাণ্ডা জনিত রোগীই বেশি। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আরএমও ডা. মঈনউদ্দিন সেতু বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে শীত ও ঠাণ্ডা জনিত রোগী চাপ বেশি। তাই সকলকে বলবো এই শীতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বের হবেন না। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধাদের ঘরের মধ্যে সবসময় গরম কাপড় পরিধান করে রাখবেন।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগামী কয়েকদিন ধরে শীতের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এই সপ্তাহ জুড়ে কনকনে শীত পরিস্থিতিই বিরাজ করবে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ঘন কুয়াশা পড়া অব্যাহত থাকবে। ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলবে।  

সপ্তাহের শেষের দিকে তাপমাত্রা বাড়লেও ১৮/১৯ তারিখের দিকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির কিছু পরে তাপমাত্রা আবারও কমে যাবে।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  শীতের তীব্রতা   ঘন কুয়াশা   বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ   ফরিদপুর   




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close