বরিশালে হঠাৎ করেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গত দুই দিনের হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র শীতে বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। এর একদিন আগে শুক্রবার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ (শনিবার) দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি বরিশালে। এ কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে আরও বেশি। হঠাৎ করে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বরিশালের জনজীবন। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। রাস্তাঘাটে মানুষ জনের চলাচল কম। বিশেষ করে দিনমজুর এবং খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। তারপরও পেটের দায়ে কাজে নামতে হয়েছে তাদের।
এদিকে হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় মানুষ একত্রিত হয়ে খড়কুটা জ্বালিয়ে তাপ পোহাতে দেখা গেছে। শীতের কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিকিকিনি হচ্ছে শীত কাপড়। এর আগে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে চলছে পুরো দমে বেচা বিক্রি।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মাসুদ রানা রুবেল জানিয়েছে, তীব্র শীতের কারণে বরিশালসহ আশপাশের এলাকায় দুপুর পর্যন্ত এমনকি সারা দিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। আগামী ৪-৫ দিন পর বৃষ্টিসহ বজ্র বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে শীত বাড়ায় বরিশালের বিভিন্ন কলোনি এলাকা ও ফুটপাতে রাত কাটানো মানুষ পড়েছে বিপাকে। তারা সরকারি ভাবে কম্বল ও শীত বস্ত্রের দাবি জানিয়েছেন।
সময়ের আলো/আরআই