প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯:০৯ এএম (ভিজিট : ৪২০)
চুয়াডাঙ্গার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝরছে। আর হিমেল বাতাসে ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে জনজীবনে। খেটে খাওয়া ও দিনমজুররা বেশি বিড়ম্বনায় পড়ছে শীতের কারণে। কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ও হিমেল বাতাস বয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। প্রতিদিনই তাপমাত্রা ওঠানামা করছে জেলায়। বাতাস আর কুয়াশার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
শীতের কারণে খেটে খাওয়া এবং নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জালিয়া।
চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কামাল হোসেন বলেন, শীত আর কুয়াশার কারণে সকালে মাঠে গিয়ে কাজ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ছে। হাত পা ঠাণ্ডা বরফ হয়ে যাচ্ছে। মাঠে কুয়াশা এবং শীত বেশি অনুভূত হয়।
চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের মুদি ব্যবসা আবু বক্কর জানান, শীতের কারণে মানুষের উপস্থিতি অনেক কম। বাজারে মানুষ না আসার কারণে বিক্রি নেই বললেই চলে। সকাল থেকে বেশিরভাগ সময় বসে থাকতে হয়।
চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক হাসমত আলী বলেন, সকালে ভাড়ার জন্য বের হয়ে রাস্তায় কোন যাত্রী নেই। সকাল থেকেই বসে রয়েছে। মানুষ শীতের জন্য ঘর থেকে কম বের হচ্ছে। মানুষের উপস্থিতি না থাকায় ভাড়া তেমন একটা নাই।
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয় ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমেল বাতাসের কারণেই তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে জেলায়।
সময়ের আলো/এএ/