প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৪, ২:৫৭ এএম (ভিজিট : ৫৫৬)
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় নৌকা প্রতীকের আনন্দ মিছিলকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২১ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। সোমবার(৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিস্বাসের আনন্দবাস গ্রামের বাড়ির সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে ও গুরুতর আহতদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিজয় হওয়াতে আনন্দবাস গ্রামের তার কর্মী সমর্থকেরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল পাকা সড়ক অতিক্রম করে জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় সেখান থেকে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করে এলাকার মানুষ। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জিয়াউদ্দিনের কর্মীরা লাঠি সোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। পরে উভয়পক্ষ একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকেরা সংঘর্ষে প্রায়২১জন আহত হয়। তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায় এলাকার মানুষ।
আহতরা হলন, আনন্দবাস গ্রামের কিয়ামত আলীর ছেলে সাবক ইউপি সদস্য ফেরদৌস আলী (৫০), আল মাজুল মোল্লার ছেলে আকাশ (২৫), বক্স বিশ্বাসের ছেলে টুকু বিশ্বাস (৪০), সিরাজুল ইসলামর ছেলে হাসিব (১৩), আলতাব হোসেনের ছেলে অন্তর (১৬), ফজলু মোল্লার ছেলে আব্দুল হামিদ (৩২), জিরাত আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪৫), ওসমানের ছেলে আয়াত আলী (৪৫), নঈমুদ্দীন মোল্লার ছেলে নাহিদুল ইসলাম (৫৯), আয়ূব হোসেনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (৩৫) ওয়াজ কুরুনির ছেলে পিয়াস (২৫), শওকত আলীর ছেলে আলী ইয়াছিন (৫০) সহ আরা ৬ জন।
মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, নৌকা বিজয় মিছিল থেকে জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের এক কর্মীকে গালাগাল চড় থাপ্পড় মারা হয়। পরে জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে গিয়ে মিছিলটি আরো জোরে শব্দ করে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে জিয়াউদ্দিন বাড়ি থেকে নৌকার কর্মী স্থানীয় ইউপি সদস্য মেনতা মিয়াকে জিজ্ঞাসা করে কেন তার কর্মীকে চড় থাপ্পড় মারা হয়েছে। এক পর্যায়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় সেখানে। জিয়াউদ্দিনের বাড়ির ছাদ থেকে ইটপাটকেল ছোড়া হয় নৌকার কর্মী সমর্থকেদের উপরে। এ ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
সময়ের আলো/আরএস/