দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে গণনার কাজ। এখন ফলাফলের অপেক্ষায় প্রার্থী ও ভোটাররা।
এর আগে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকেলে ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বেশ কিছু ভোটকেন্দ্র ভোটারের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। তবে বড় ধরণের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
জানা যায়, গাইবান্ধা-৩ আসন থেকে ১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক প্রার্থী ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মইনুর রাব্বী চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মশাল প্রতীকের এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজার রহমান (ঢেঁকি), সাহারিয়া খান বিপ্লব (ট্রাক), মফিজুল হক সরকার (ঈগল পাখি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নঙ্গর প্রতীকে মনজুরুল হক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীকের মোস্তফা মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি প্রতীকের মাহমুদুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকে জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাহিদ নিউ, কেটলি।
এদিকে, নির্বাচনকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে ছিলেন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন ছিলো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে তৎপর ছিলেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে তাদের গুরুত্বের উপর নির্ভর করে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে। এই বাহিনীর বাইরের পুলিশ সদস্যরা মোবাইল ফোর্স-স্ট্রাইকিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন, এ আসনে ১৩৪ কেন্দ্রে ১ হাজার ১৪ ভোটকক্ষে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সময়ের আলো/আরআই