প্রকাশ: শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:২৭ এএম আপডেট: ০৬.০১.২০২৪ ৮:০৩ এএম (ভিজিট : ৬০৩)
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের ৬টি আসনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ২৭৫টি, আর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকবে ১৬ হাজার সদস্য। এর মধ্যে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, সেনাসদস্য, ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তাদের মধ্যে নির্ধারিত পুলিশ সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে বডি ক্যামেরা ব্যবহার করবে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সদস্যদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার এ তথ্য জানান।
শুক্রবার সকাল ৯টায় যশোর পুলিশ লাইন্স মাঠে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। তিন ঘণ্টাব্যাপী ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার ও পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্য ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। এ সময় তাদের ভোটারদের শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদানের ব্যবস্থা করা এবং শতভাগ নির্বাচনি সরঞ্জাম ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা রক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া নির্বাচনি দায়িত্ব পালনকালে প্রার্থী ও তার সমর্থকদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা ও ভোটের দিন দুপুরে শুকনা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ব্রিফিংয়ে। এ জন্য প্রত্যেককে মাথাপিছু ১ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
ব্রিফিং শেষে পুলিশ সুপার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হলেও আমরা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি না। পুরো যশোর জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে ২ হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য, ১০ হাজার আনসার সদস্য, ৪৫০ বিজিবি সদস্য, সেনাসদস্য, ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা বাহিনীর ১৬ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। তিনি আরও বলেন, যেসব দুষ্ট প্রকৃতির লোক ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদানসহ নানা অপতৎপরতার চিন্তা করছে তাদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। ব্রিফিংয়ে পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ও জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোছাইনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ছিলেন।
সময়ের আলো/আরএস/