প্রকাশ: শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪, ১২:২৭ এএম (ভিজিট : ৫২০)
আগামী ৭ জানুয়ারীর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সেইসঙ্গে তারা নির্বাচনকে প্রত্যাখান করে দেশবাসীর প্রতি খোলা চিঠি দিয়েছে।
শুক্রবার দেশবাসীর উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন স্বাক্ষরিত এই খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, উদ্ভূত সংকটের সমাধান, গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকারকেই করতে হবে।
খোলাচিঠিতে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও পরিস্থিতি তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলছে, সারা দেশ আজ এক প্রকট রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। আমরা আশা করেছিলাম, অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সর্বজনের সমঝোতার ভিত্তিতে একটি অবাধ, প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টা সবার মধ্যেই থাকবে। কিন্তু আমাদের হতাশ হতে হয়েছে। ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর নিরঙ্কুশ ক্ষমতার নবায়ন ব্যতীত আর কিছুই জনগণকে দিতে পারবে না।
চিঠিতে আরও বলা হয়, একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের উপস্থিতি সংসদীয় শাসনপদ্ধতির অন্যতম পূর্বশর্ত হওয়া সত্ত্বেও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আগের মতো একটা ‘পুতুল’ বিরোধী দলও গড়ে তোলা মুশকিল হয়ে যাবে। কারণ, অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ অনুপস্থিত বলে বিএনপিসহ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বর্জন করেছে। সরকারি দলের সঙ্গে বা সরকারি দলের সমর্থন নিয়ে যে দলগুলো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, সেগুলো নামমাত্র রাজনৈতিক সংগঠন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এসব সংগঠনকে পরিকল্পিতভাবেই নিবন্ধন দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো সাক্ষী, আসনগুলো নির্বাচনের আগেই ভাগাভাগি হয়ে গেছে! বিরোধীদের নির্বাচন বর্জনের চাপ সামলাতে এবং এ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দেখাতে ‘ডামি’ প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছে। বলা যায়, এ নির্বাচন এমন এক কৌশলে হতে চলেছে, যে বা যারাই নির্বাচনে জিতুক না কেন, তাদের সবাই হবে ক্ষমতাসীন দলের লোক।
খোলাচিঠিতে আরও বলা হয়, সবকিছু মিলিয়ে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ৭ জানুয়ারি আমরা ২০১৪ ও ২০১৮-এর মতো অগ্রহণযোগ্য আরেকটি নির্বাচন দেখতে চলেছি এবং নির্বাচনের ফলাফল কী হতে যাচ্ছে, তা সহজেই অনুমেয়। দেশের অর্থনীতির অবস্থা এবং ভূরাজনৈতিক বিন্যাসে বাংলাদেশের অবস্থান বিবেচনায় এ রকম প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন দেশের ভবিষ্যৎকে গভীর অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই আমরা এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করি।
সময়ের আলো/আরএস/
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন জরুরি
দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনেও অস্বস্তিতে রিয়াল
দিয়াবাতেকে ছাড়বে না মোহামেডান
বিসর্জনে অর্জন
মৃত্যুঞ্জয়ী গাজা
হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ী সমাবেশ
কালিহাতীতে কোটা আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার ৩
সোলস আমার পরিবারের একটি অংশ: তুষার
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
টস জিতলো ভারত, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী
শেয়ারবাজারে এক সপ্তাহে হাওয়া ১৩ হাজার কোটি টাকা!