ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

গুলির হুমকি দেওয়া সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯:২২ পিএম আপডেট: ০৫.০১.২০২৪ ৯:২৮ পিএম  (ভিজিট : ৯০৫)
সংবাদ সম্মেলন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন । ছবি: প্রতিনিধি

সংবাদ সম্মেলন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন । ছবি: প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নির্বাচনে দিন একটি গুলি করলে ১০টি গুলি করার কসম করা ইউপি চেয়ারম্যান সাহিদ মোহাম্মদ লিটনকে গ্রেফতার পূর্বক অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের হাসপাতাল রোড সংলগ্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নিজ বাস ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন বলেন, আমরা মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হাজী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক। নির্বাচন কমিশনের বেধে দেওয়া নিয়মের মধ্যে থেকে আমরা নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শেষ করেছি। তবে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিকে ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামে জনসভা করে প্রতিপক্ষের কেউ একটি গুলি করলে তাদেরকে ১০টি গুলি করার হুমকি দেন ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহিদ মোহাম্মদ লিটন। শত শত লোকের সামনে প্রকাশ্যে কসম খেয়ে তার গুলি করার বিষয়টি এটাই প্রমাণ করে তার কাছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে ইউপি চেয়ারম্যান সাহিদ মোহাম্মদ লিটনের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

তার বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান সাহিদ মোহাম্মদ লিটন বলেন, ‘আমি দেখে নিব কার গায়ে কত শক্তি, আমি দেখে নিব বিপ্লবের কত শক্তি। একজন সন্ত্রাসকে আমরা গজারিয়া আসতে দিব না। সাত তারিখে ইনশাল্লাহ দেখিয়ে দিব কার কত ক্ষমতা আছে। আমরা অসহায় মানুষ না। যদি একটা গুলি গজারিয়াবাসীর গায়ে লাগে তাহলে একজনকেও রাখবো না। আপনারা লক্ষ্মীপুরাবাসী খোদার কসম, মসজিদের সামনে আল্লাহর কসম কাউকে আমি ছাড় দিবো না। একটা গুলি চললে ১০টা গুলি চলবে।’

তার বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান সাহিদ মোহাম্মদ লিটন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবকে সন্ত্রাসী উল্লেখ করে বলেন, ‘বিপ্লবের সন্ত্রাসী বাহিনী মোল্লাকান্দিতে আমাদের এক ভাইকে খুন করেছে।’ তদন্তাধীন একটি বিষয় নিয়ে স্পর্শকাতর মন্তব্য করা দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী পাশাপাশি একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে  মিথ্যাচার নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন যা ভোটের মাঠে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে।

ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় অসংখ্য সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম চলমান। আমাদের ধারণা দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা পয়সার মালিক হয়েছেন তিনি। সেই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এর আগেও তার ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে তার লোকজন কর্তৃক মারধরের শিকার হয় আমাদের দুজন কর্মী। এ সময় নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত মাইক এবং মাইকের মেশিন ভাঙচুর করা হয়। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে ইউপি চেয়ারম্যান সাহিদ মোহাম্মদ লিটনের গুলিবর্ষণ করার হুংকার এটাই প্রমাণ করে তিনি এবং তার লোকদের কাছে অনেক অস্ত্র রয়েছে যা উদ্ধার করে তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  সংসদ নির্বাচন   সংঘর্ষ   ইউপি চেয়ারম্যান   গজারিয়া   মুন্সীগঞ্জ  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close