প্রকাশ: সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪, ২:৫৬ এএম (ভিজিট : ৬৩০)
উত্তরাঞ্চলের মধ্যবর্তী জেলা বগুড়ায় বেশ ভালোভাবেই লেগেছে ভোটের হাওয়া। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবখানে এখন চলছে নির্বাচনি আলোচনা। জয়ের জন্য প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। আওয়ামী লীগের নৌকা, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনি তৎপরতা এবং জনসমর্থন বিশ্লেষণে ত্রিমুখী সমীকরণ চলছে। তবে এর মাঝে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) এবং বগুড়া-৩ (আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়া) সংসদীয় আসনের লাঙ্গলের দুই প্রার্থীকে নিয়ে চলছে বাড়তি আলোচনা।
অনেকের মতে, লাঙ্গল প্রতীকের এই দুই প্রার্থীর পালে ইতিমধ্যেই কিছুটা হলেও জয়ের হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। বগুড়া-২ আসনে নৌকা না থাকলেও লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতাকর্মী। বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর পক্ষে সরব হয়েছেন নিজ দলের নেতাকর্মীসহ আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেনের পক্ষেও রয়েছে আওয়ামী লীগের একটি অংশ। সব মিলিয়ে লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন মাঠের ভোটাররা। এতে ভোটের ময়দান জমজমাট হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে ১৪ দলের সমঝোতার মাধ্যমে ছাড় পাওয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল ইসলাম তালুকদারও ভোটের মাঠ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় নুরুল ইসলামের মাঠ অনেকটাই চাঙ্গা হয়েছে।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অজয় কুমার সরকারও আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন।
বর্তমান সংসদ সদস্য ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, গতবারের মতো দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাকে সহযোগিতা করছেন। দলীয় লোকজনসহ এলাকার সাধারণ মানুষ আমার সঙ্গে আছেন। আমার বিশ্বাস, আমি আবারও এ উপজেলায় ব্যাপক ভোটে জয়ী হয়ে এমপি নির্বাচিত হব। স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় নেতারা বিভিন্ন কৌশলে আমাকে সহযোগিতা করছেন।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, ওই দুটি আসনের বাইরে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে বর্তমান এমপি সাহাদারা মান্নান আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। এ ছাড়াও আরও এক নারী প্রার্থী ভোটের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন শাহাজাদী আলম লিপি।
সাহাদারা মান্নান বলেন, ভোটের মাঠে নারী-পুরুষ সবাই সমান। সবার ভালোবাসা নিয়েই আমি এগিয়ে চলেছি। এ ছাড়াও বগুড়া-৪, বগুড়া-৫, বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৭ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের পরিস্থিতি দেখছেন স্থানীয়রা।