প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১১:০৯ এএম (ভিজিট : ৪৩০)
নিখোঁজের চার দিন পর রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বালু নদী থেকে ওসমান গনি স্বাধীন (৯) নামে এক স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। শিশুটি গত শুক্রবার বিকেলে পাশের এলাকায় একটি মেলায় যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলো।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
ঢাকা অঞ্চলের ডেমরা রাজাখালি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় খিলগাঁও কায়েতপাড়া বাজারের উত্তর পাশে বালু নদীর পানিতে ভাসমান অবস্থায় ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসআই আরো জানান, মরদেহটি আংশিক পঁচে ফুলে গেছে। এজন্য মৃতদেহে কোন আঘাতের চিহ্ন বাহ্যিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তবে তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত নির্গত হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নাওরা গ্রামের দোকান মালিক মো. শাহিনের ছেলে স্বাধীন। নাওরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্র সে। নিহত স্বাধীনের বাবা মো. শাহিন জানান, তাদের বাড়ি, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নাওরা গ্রামে। নাওরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্র ছিল স্বাধীন।
শাহিন আরো জানান, শুক্রবার বিকেলে স্বাধীন বাসা থেকে বের হয় পাশের এলাকার একটি মেলায় যাবে বলে। তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সে বাসায় না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কোথাও না পেয়ে ওইদিনই রূপগঞ্জ থানায় গিয়ে জিডি করেন।
শাহিন জানান, পরদিন শনিবার সকালে মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। ওই ব্যক্তি স্বাধীনকে কমলাপুর এলাকায় নামিয়ে রেখে এসেছে এবং তাকে ৮শ টাকা দিলে স্বাধীনের সন্ধান দেবে বলে জানায়। তখন বাসার সবাই ওই ব্যক্তির কথায় রাজি হন। তবে শিশুটির বাবা গোপনে ওই নাম্বারটি থানা পুলিশের কাছে দেয়। কিন্তু এরপর থেকেই ওই নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে শনিবার দুপুরে তারা নিজেরাই কমলাপুর এলাকায় গিয়ে স্বাধীনকে খোঁজাখুঁজি করেন। সর্বশেষ সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের মাধ্যমে খবর পান, বালু নদী থেকে স্বাধীনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
শাহিন জানান, তার সাথে এলাকার কারো কোন দ্বন্দ্ব নেই। কারা তার ছেলেকে মেরে ফেলেছে তা তার এটা বলতে পারছি না।
সময়ের আলো/এএ/