প্রকাশ: শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম (ভিজিট : ৪০০)
রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাতিরপুলের মোতালেব প্লাজা ভবনের ৯ তালা থেকে পরে গৃহকর্মী নাজমা আক্তারের (১৬) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওই গৃহকর্মী ভবন থেকে পড়ে যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তবে গৃহকর্ত্রী বলেন, বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ভবন থেকে পরে গৃহকর্মী নাজমার মৃত্যু হয়েছে।
শাহবাগ থানার এসআই আব্দুল মোনায়েম জানান, রাতে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরে ওই গৃহকর্মী। না যেতে দিলে নয়তলার থেকে গামছা কাপড় দিয়ে গ্রীলের সঙ্গে বেধে নিচে নামার সময় পাশের মসজিদের পাঁচতলার ছাদে পরে যায়। সেখান থেকে রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে ওই গৃহকর্মী মারা যায়। তবে বিষয়টি আরো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ওই বাসার গৃহকর্ত্রী খুরশীদা জামান সময়ের আলোকে বলেন, তারা হাতিরপুল মোতালেব প্লাজার নয়তলায় থাকেন। গত দেড় মাস ধরে তাদের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল নাজমা। ময়মনসিংহ জেলা থেকে তাদেরই পরিচিত পারভীন নামে এক নারী নাজমাকে তাদের বাসায় কাজে দিয়ে যান। শুক্রবার রাতে নাজমা তাকে জানায়, তার মা খুব অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে তার মাকে দেখতে যাবে। তবে রাতের বেলায় তাকে গ্রামে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না বলে জানান তারা। তখন তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, রাত ১০টার দিকে একই সাথে খাওয়া-দাওয়া করেন তারা। এর কিছুক্ষণ পর নাজমাকে আর বাসায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন দেখেন তাদের বাসার মেইন দরজা খোলা। এতে তাদের সন্দেহ হলে তিনি দৌড়ে বাসার নিচে যান। তবে তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিলো না। খোঁজাখুঁজি করার একপর্যায়ে জানতে পারেন, পাশের মসজিদের ৫ম তলার ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে নাজমা। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে ভর্তি করান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। তাদের ধারণা, তাদের বাসার গ্রিলের ফাঁকা দিয়ে নামার সময় সেখান থেকে পড়ে গিয়েছিলো নাজমা।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শক্রবার রাতে হাতিরপুল এলাকা থেকে ওই গৃহকর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করে গৃহকর্ত্রী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে মারা যায় নাজমা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীর মরদেহ সুরাতল ও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
সময়ের আলো/জিকে