বছরের শেষ সূর্যাস্ত ও প্রথম সূর্যোদয় দেখতে ইতিমধ্যে কুয়াকাটায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। এবার পর্যটকদের উপস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করবে এমন প্রত্যাশায় সর্বত্রই এখন সাজ সাজ রব। পর্যটকদের পর্যাপ্ত সুবিধা ও নিরাপত্তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সমুদ্র স্নান, ছবি তোলা, বেঞ্চিতে বসে সাগরের ঢেউ, সৈকতে লাল কাঁকড়ার বিচরণ ও গাংচিলের ওড়াউড়ি দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটকরা। সে সঙ্গে সীমাহীন আনন্দে তারা ঘুরছেন ঐতিহ্যবাহী কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, আড়াই শতবর্ষী নৌকা, ইলিশ পার্ক, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান, ঝাউ বন, লেম্বুর চর, চর গঙ্গামতি, তিন নদীর মোহনা, ফাৎরার বন, চর বিজয়, এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লী, রাখাইন মার্কেট ও ফিশ ফ্রাই মার্কেটে।
তবে মোটরসাইকেল চালক, ফটোগ্রাফার, ভিক্ষুক আর নোংরা সৈকত নিয়ে অনেকটাই বিভ্রান্ত পর্যটকরা।
চট্টগ্রাম থেকে আসা জেসমিন আরা বলেন, কুয়াকাটা অনেক সুন্দর তবে ব্যবস্থাপনা আরও সুন্দর হওয়া দরকার। এখানে থাকা-খাওয়ার পর্যাপ্ত হোটেল নেই। মানুষ ডাব আর চিপস খেয়ে যত্রতত্র এসবের খোসা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করছে। এ ছাড়া সৈকত ও প্রবেশমুখে মোটরসাইকেল চালক, ফটোগ্রাফার, ভিক্ষুক ও হকারদের হাঁকাহাঁকিতে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
অনেক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কুয়াকাটায় ফাঁকা নেই কোনো হোটেল-মোটেলের কক্ষ। অতিরিক্ত পর্যটকের জন্য বিভিন্ন বাসাবাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খান প্যালেস হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান বলেন, বিশেষ দিন উপলক্ষে হোটেল-মোটেল ও রাস্তা-ঘাটে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যটকদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এখন আর তারা নতুন করে কোনো বুকিং নিতে পারছেন না।
ট্যুরিস্ট গাইড অ্যাসোসিয়েশন, কুয়াকাটার সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, সব পর্যটন কেন্দ্রেই পর্যটক হয়রানির নজির আছে। কুয়াকাটাও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে সেবার মান বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্তরে প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ ও কুয়াকাটা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিনোদনের সব সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে কুয়াকাটায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সমাগম বৃদ্ধি পাবে।