ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

আগুন লাগা জাহাজের ক্রুদের চিকিৎসা দিয়েছে নৌবাহিনী
প্রকাশ: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৩১ পিএম  (ভিজিট : ৭০)
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ ও ‘এমটি বাংলার সৌরভ’-এর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। একইসঙ্গে জাহাজের ক্রুদের উদ্ধারসহ জরুরি চিকিৎসাসেবাও দিয়েছে বাহিনীটি। রোববার (৬ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজে ভয়াবহ আগুন লাগে। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় নৌবাহিনীর তিনটি বিশেষায়িত টাগশিপ, কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষের চারটি টাগশিপ মিলে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় জাহাজটিত থাকা ৪৮ নাবিকের মধ্যে ৪৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও একজন মারা যান। এর মধ্যে আহত কয়েকজনকে নৌবাহিনী হাসপাতাল বানৌজা পতেঙ্গা নিয়ে এসে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এর ঠিক পাঁচ দিন আগে বন্দরের ৭ নম্বর ডলফিন জেটিতে প্রথমে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন আরেকটি জাহাজ ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’। এ ঘটনায় তিনজন মারা যান। জাহাজটিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে টনাস্থলে ছুটে যায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একাধিক বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ ক্ষমতাসম্পন্ন টাগশিপ। সঙ্গে যুক্ত হয় কোস্টগার্ড ও চট্টগ্রাম বন্দরের একাধিক টাগশিপসহ ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি দল।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম বন্দর ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি অন্য নাবিকদের জীবিতাবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বড় রকমের ক্ষতি ও প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশ। ডলফিন জেটিতে অবস্থানরত ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ জাহাজটিকে বড় ধরনের বিস্ফোরণের হাত থেকে রক্ষা করা না গেলে হুমকির মুখে পড়তে হতো দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকা রাষ্ট্রীয় তেল বিপণনকারী সংস্থা পদ্মা, মেঘনা যমুনা ও তেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি, চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত বিমানবন্দর, স্থবির হয়ে পড়ত দেশের প্রধান বাণিজ্যিক বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম।

আগুন লাগার আগে বাংলার জ্যোতি জাহাজে ১১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন এবং বাংলার সৌরভ জাহাজে ১১ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড অয়েল ছিল। জাহাজগুলোতে থাকা বিপুল পরিমাণ এই তেল পানিতে ছড়িয়ে পড়লে হুমকির মুখে পড়ত কর্ণফুলী নদীসহ বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য। এ ছাড়া বিশাল আকারের এই জাহাজ দুটি বিস্ফোরণে ডুবে গেলে বন্ধ হয়ে যেত চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ আসা-যাওয়া, স্থবির হয়ে পড়তো দেশের আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম।

সময়ের আলো/এম 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close