ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

পলাতক কলেজ অধ্যক্ষ ২ মাস পরে হঠাৎ হাজির
প্রকাশ: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:০৬ পিএম  (ভিজিট : ৭৪)
ঝালকাঠির নলছিটি জেড এ ভুট্টো ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী তালুকদার গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর থেকেই আত্মগোপনে। কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোন কাজেই তাকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কোনভাবেই পাওয়া যায়নি। গোপন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শুধু বেতন সিটে স্বাক্ষর করেছেন। দুই মাস পরে রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ তিনি কলেজে হাজির হন। তিনি কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ারে পুনরায় আসীন হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নলছিটি জেড এ ভুট্টো ডিগ্রি কলেজের দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর থেকে কলেজের যাবতীয় কার্যক্রমে অধ্যক্ষ আইয়ুব আলীও ছিলেন আত্মগোপনে। দুই মাস কলেজের কোন কাজেই তাকে পাওয়া যায়নি। আজ (রোববার) সকাল ১১টায় সুবিধাভোগী কিছু লোকজনের ছত্রছায়ায় তিনি কলেজে হঠাৎ এসে উপস্থিত হয়েছে। 

প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অংশ নেয়া অধ্যক্ষ আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বিভিন্ন অভিযোগ মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দফতরে দেওয়া হয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানান। কিন্তু তৎকালীন প্রভাবশালী নেতা আমির হোসেন আমুর হস্তক্ষেপে তদন্ত ও কার্যকরী পদক্ষেপের বিপদ থেকে রক্ষা পান। তার বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিও পালন করেছিলেন। এলাকার মানুষের প্রশ্ন- যিনি কলেজের লেখাপড়ার মান নষ্ট করেছেন, নকল বাণিজ্যের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে ইনকাম করেছেন এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অনেকগুলো নিয়োগ আওয়ামী লীগের লোকদের দিয়ে দলীয় করণ করেছেন। এতো অনিয়ম দুর্নীতি ও দলীয়করণ করার পরেও তিনি কিভাবে আবার স্বপদে বহাল হলেন।

এ ছাড়াও গত ৫ আগস্ট এর পরে এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল করে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তারপরও কিভাবে তিনি অত্র কলেজে আসেন প্রশ্ন সকল মহলের। 

জানা গেছে, প্রভাবশালী কিছু স্থানীয় নেতাদেরকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে তিনি স্বপদে বহাল আছেন। 

এ বিষয়ে বিএনপির একাধিক নেতাকে জানতে চাওয়া হলে তারা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অনেকেই বিষয়টি জানেন না বলে অবহিত করেন।

এলাকার প্রবীণ একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আইউব আলী আবার অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে কলেজে অনুপ্রবেশ করায় সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। তাকে হঠাতে যেকোনো কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। 

এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী তালুকদার জানান, ১৯৯৪ সালে প্রভাষক হিসেবে কলেজে চাকরিতে যোগদান করি। ২০১৩ সালে অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করি। প্রতিদিন কলেজে অধ্যক্ষের কাজ থাকে না, কলেজের বাইরেও অফিসিয়াল কিছু কাজ থাকে। শিক্ষকদের উপস্থিতি আর অধ্যক্ষের উপস্থিতির হিসাব এক না। তাই ৫ আগস্ট থেকে কলেজে অনুপস্থিতির বিষয়টা সঠিক না, যা কলেজের ডকুমেন্টারিতে সব ঠিক আছে। অন্যসব উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা বলেও দাবি করেন তিনি। 

কলেজ উপস্থিতি এবং ডকুমেন্টারির বিষয়ে কেরানি আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন তাকে দিয়ে সব কাজ ঠিক করিয়ে রাখতেই পারেন? এমন প্রশ্নে তিনি “বরিশালে চায়ের দাওয়াত দেন। চায়ের দাওয়াত বরিশাল কেন, দাওয়াত দিলে আপনার কলেজে দিবেন” এমন কথায় তিনি অট্টহাসি দিয়ে কেটে দেন।  

সময়ের আলো/আরআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close