ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

বড় ছাড়ে ক্ষতি পোষানোর চেষ্টায় ব্যবসায়ীরা
কক্সবাজারে চাঙ্গা হয়নি পর্যটন
প্রকাশ: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১:৪৩ এএম  (ভিজিট : ১০০)
এই সময়ে কক্সবাজারে ভরপুর পর্যটক থাকার কথা। কিন্তু ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন কারণে কক্সবাজারের পর্যটনে দুরবস্থা চলছে। তবে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও চাঙ্গা হয়নি এই শিল্প। এদিকে চাঙ্গা করতে রুম ভাড়ায় ৪০-৫০ শতাংশ ছাড়ের পাশাপাশি শরৎ প্যাকেজ ও ইলিশ উৎসবের আয়োজন করছে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ। এরপরও আশানুরূপ পর্যটক মিলছে না কক্সবাজারে, এমনটি দাবি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। তবে আগামী সপ্তাহে দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিন বন্ধ থাকায় এ সময় পর্যটন স্বরূপে ফিরতে পারে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। গত শুক্র ও শনিবার বিকাল পর্যন্ত সরেজমিন দেখা গেছে বিচ এলাকার অনেক স্থান খালি। হোটেলগুলোর ৯০ ভাগ খালি রয়েছে বলে জানান ব্যবস্থাপকরা।

সূত্র মতে, সৈকত ঘিরে হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস রয়েছে পাঁচ শতাধিক। এসব হোটেলে দৈনিক প্রায় দেড় লাখ পর্যটকের রাত যাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। এবারের পর্যটন মৌসুমটা চাঙ্গা হয়ে উঠবে এমনটি বিশ্বাস হোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতি নেতাদের।

হোটেল সি আরাফাতের ম্যানেজার মইনুল হাসান বলেন, ভাড়া কমিয়ে রাত যাপনের সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকরা। এরপরও উল্লেখ করার মতো অতিথি নেই। সবখানে একই অবস্থা। দুর্গাপূজার ছুটিতে পর্যটকের ভিড় বাড়বে কক্সবাজারে। তারকা হোটেল লং বিচের ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজার এএমডি শহিদুল আলীম বলেন, গত ছয় মাস ধরে আশানুরূপ ব্যবসা নেই। এখন শুক্র-শনি ও বন্ধের দিনে ৪০ শতাংশ আর অন্য দিনে ৫০ শতাংশ ছাড়ে রুম ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। কোনোমতে প্রতিষ্ঠান চালু রাখা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ লাভের আশা করতে পারছেন না।

হোটেল সায়মনেও একই অবস্থা উল্লেখ করে হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নুর বলেন, স্বাভাবিক নিয়মেই সব চলছে। দেখা গেছে, প্রতি বছরই ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহের জায়গা কক্সবাজারের নয়নাভিরাম সমুদ্রসৈকত। আসন্ন মৌসুমে পর্যটক আগমন বাড়বে, এটি মাথায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো সাজিয়ে আকর্ষণীয় করা হচ্ছে। অনেকে পরিবর্তন করছেন পুরোনো জিনিসপত্র। পর্যটক যাই আসুক সব স্পটে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত ট্যুরিস্ট পুলিশ। নিরাপত্তা জোরদারে স্পটে স্পটে লাগানো হচ্ছে সতর্কতামূলক সংকেত ও সাইনবোর্ড।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, আগে প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ হাজার পর্যটক কক্সবাজার বেড়াতে আসতেন। তবে সরকার পতনের পর পর্যটকে অনেকটা ভাটা পড়েছে। যেটি এখনও চলমান। আশা করছি দুর্গাপূজায় কক্সবাজারে আগের অবস্থা ফিরে আসবে। তবেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব আমরা।

কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, পর্যটকের অভাবে অনেক রেস্তোরাঁ সাময়িক বন্ধ রয়েছে। তবে গত মাসের তুলনায় চলতি অক্টোবরে কিছু পর্যটক আসতে শুরু করেছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতে পোশাকধারী পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য পয়েন্টগুলোতে টহল দলের পাশাপাশি রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশও। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নজরদারির আওতায় আছে সব।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সময়ের আলোকে বলেন, পর্যটকদের সেবাতেই এই শিল্পের প্রসার ঘটবে। পর্যটকদের সঠিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়ার কথা জানান তিনি।


সময়ের আলো/আরএস/





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close