ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

একনেক বৈঠক কাল
১০ গুণ ব্যয় বাড়ছে কালুরঘাট রেলসেতু প্রকল্পের
প্রকাশ: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৫৩ এএম  (ভিজিট : ২৬৮)
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বাড়তি ব্যয় নিয়েই উঠছে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর দিয়ে রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্প। ২০১৮ সালে প্রকল্পটি ১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করে রেলপথ মন্ত্রণালয়। তখন একনেক থেকে প্রকল্পটি ফেরত পাঠানো হয়। এবার প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। যা আগের প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত ব্যয়ের ১০ গুণেরও বেশি।

পরিকল্পনা কমিশনের একনেক উইং সূত্রে জানা গেছে, কাল সোমবার রাজধানীর বিজয় সরণির প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভার কার্যতালিকায় কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর একটি রেল কাম রোড সেতু নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে। 

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি ১০ গুণ বেশি ব্যয় ধরায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আর পাস করা হয়নি। প্রকল্পের ব্যয় কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। 

প্রকল্পের ডিপিপি সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগের জন্য কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর মিটারগেজ লাইনবিশিষ্ট রেলসেতুর ওপর দিয়ে স্বল্পগতিতে ট্রেন চলাচল করে এবং ট্রেন চলাচলের সময় সেতুর ওপর দিয়ে সড়কপথের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এ ছাড়া এই সেতুতে যানবাহন একমুখী চলাচল করতে পারে। ফলে সেতুর উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ জন্য কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন একটি রেল সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় সরকারি অর্থায়নে ২০১২ সালে এসএমইসি ও ডব্লিউআইইসিওএন কোং লিমিটেড এবং বাংলাদেশের এসিই কনসালট্যান্ট লিমিটেড ও ইঞ্জিনিয়ার কনসোর্টিয়াম লিমিটেড যৌথভাবে প্রস্তাবিত প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করে। সরকার সেতু নির্মাণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার অনুরোধ জানালে ইডিসিএফের নিয়োজিত পরামর্শক আগের ফিজিবিলিটির ভিত্তিতে নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স ৭ দশমিক ৬২ মিটার বিবেচনা নিয়ে ২০১৬ সালে পুনরায় প্রকল্পের ফিজিবিলিটি সম্পন্ন করে।

এ ফিজিবিলিটি স্টাডির আলোকে রেল কাম রোড সেতু নির্মাণের জন্য প্রণীত প্রকল্পের ডিপিপি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে সভায় নির্দেশনা দেওয়া হয়, প্রস্তাবিত সেতুর সড়ক ও রেল সেতুর জন্য আলাদা ডিজাইন প্রণয়ন করে পুনরায় একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে।

এ নির্দেশনা এবং পরে ২০১৯ সালে বিআইডব্লিউটিএ কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট পয়েন্টে রেল কাম রোড সেতুর নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স ১২ দশমিক ২ মিটার করার ফলে নতুনভাবে ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য ইডিসিএফের পক্ষ থেকে ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর উশিন অ্যান্ড দোহা ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন জেভির সঙ্গে পরামর্শক চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের মে মাসে চূড়ান্ত ফিজিবিলিটি স্টাডি দাখিল করে। ওই ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্টের ভিত্তিতে কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেলওয়ের ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন এবং দুই লেনবিশিষ্ট সড়কপথের সুবিধা রেখে একটি রেল কাম রোড সেতু নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়। এতে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয় ১১ হাজার ৫৬৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকার দেবে ৪ হাজার ৪৩৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ৭ হাজার ১২৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ সেতুর নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ দশমিক ২ মিটার করা হয়েছে। আর প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্সের পরিমাণ বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৮ মিটার আর প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় বেড়েছে ১০ হাজার ৪০২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, প্রকল্পটি ২০১৮ সালে যখন প্রস্তাব দেওয়া হয় তখন এর নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স ছিল ৭ দশমিক ৬২ মিটার। বর্তমানে তা ১২ দশমিক ২ মিটার করা হয়েছে। এতে সেতুর উচ্চতাসহ ভায়াডাক্টের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এর আগে একনেক সভায় উপস্থাপিত প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২০১৫ সালের রেট সিডিউল অনুসারে নির্ধারণ করা হয়েছিল। বর্তমান প্রস্তাবে হালনাগাদ রেট সিডিউল অনুসারে ব্যয় প্রাক্কলন করায় প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে এই ব্যয় বাড়া স্বাভাবিক কি না জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, পাঁচ মিটার উচ্চতা ও রেট শিডিউলের কারণে ১০ গুণ ব্যয় বাড়ার কোনো কারণ নেই, যদি এটা ছাড়া বড় ধরনের কোনো কাজ বেড়ে না থাকে। কারণ এর আগেও তো সব হিসাব-নিকাশ করেই ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, দেখা যাবে প্রকল্প চলাকালে বিভিন্ন দোহাই দিয়ে তারা আবার ব্যয় বাড়াবে। যার চাপ পড়বে জনগণের ওপর। আবার রেলওয়েকেও তো এই খরচ পরিশোধ করতে হবে। এত টাকা দিয়ে সেতু করে রেল সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারবে কি না, সেটা দেখা দরকার। তাই পরিকল্পনা কমিশনের উচিত হবে দক্ষ প্রকৌশলী দিয়ে তাদের প্রস্তাব যাচাই করে ব্যয় নির্ধারণ করা।

এদিকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব (আইএমইডি) সময়ের আলোকে বলেন, বিদেশি অর্থায়নে যেসব প্রকল্প জড়িত সেই সব প্রকল্পে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকসহ অন্য সংস্থা বাজেটে সাহায্য করবে। বিদেশি অর্থায়নে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ যেসব প্রকল্পের কাজ ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে সেগুলো বাজেট সংকট হবে না। 

তিনি আরও বলেন, যেসব জনবান্ধব প্রকল্প সেগুলো চালু থাকবে। চলমান সব প্রকল্পই চালু রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকল্পই বন্ধ করা হয়নি। 

অন্যদিকে পরিকল্পনা কমিশনের উইং সূত্রে জানা জানা গেছে, একনেক সভায় ৪টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মোট ৪টি প্রকল্প (২টি নতুন ও ২টি সংশোধিত) উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে জিওবি ও বৈদেশিক ঋণের অর্থায়নে ৩টি এবং জিওবি, প্রকল্প ঋণ ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ১টি প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্ত অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য উঠছে ৮টি প্রকল্প। 

উইং সূত্রে আরও জানা গেছে, সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ : এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ (২য় সংশোধিত)-যা সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। ২য় সংশোধিত প্রস্তাবে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। এতে সরকার অর্থায়ন করবে ৭ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ দেবে ১১ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। ২য় সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাবে প্রকল্পটির মেয়াদকাল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। 
প্রকল্পটি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি, সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, কামারখন্দ, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ, বগুড়া জেলার শেরপুর, শাহাজানপুর, বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাহপুর এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জ, মিঠাপুকুর এবং রংপুর সদর উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।

আরেকটি প্রকল্প হচ্ছে-রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইউটিডিপি) প্রকল্পটির উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ৫ হাজার ৯০১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। এই প্রকল্পে মেয়াদকাল চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হয়েছে। এতে জিওবি অর্থায়ন করবে ১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা। 

প্রকল্প আইডিএ ও বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে : ৪ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। দেশের ৫ বিভাগের ৩৭টি জেলার ৬টি সিটি করপোরেশন ও ৮১টি পৌরসভায় বাস্তবায়ন করা হবে। 

পরিকল্পনা কমিশনের উইং সূত্র আরও বলছে, মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট (২য় সংশোধিত) প্রকল্পে উদ্যোগী সংস্থা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় প্রথমে ব্যয় ধরেছিল ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। পরে তা ২য় সংশোধিত প্রস্তাবে হয়েছে ২৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা। এতে জিওবি অর্থায়ন করবে ৩ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। প্রকল্পে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ২ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা) ঋণ দেবে ১৭ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা। প্রকল্পে বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে বলে পরিকল্পনা কমিশনের উইং সূত্রে জানা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও বলছে, একনেকে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আরও ৮টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৬টি প্রকল্প রয়েছে। সেগুলো হলো-কুষ্টিয়া জেলায় নতুন সার্কিট হাউস নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, ভুয়াপুর-তারাকান্দি জেলা মহাসড়ক (জেড-৪৮০১) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, বৈরাগীপুল (বরিশাল)-টুমচর-বাউফল (পটুয়াখালী) জেলা মহাসড়ক (জেড-৮-৯১০) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়কের (এন-৮০৯) বরিশাল (চর কাউয়া) থেকে ভোলা (ইলিশ ফেরিঘাট) হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, বরিশাল (দিনারের পুল)-লক্ষ্মীপাশা-দুমকী জেলা মহাসড়কের ১৪তম কিলোমিটারে রাঙামাটি নদীর ওপর গোমা সেতু নির্মাণ (১ম সংশোধিত) এবং কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর (জেড-২৮২২) সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে পিসি গার্ডার সেতু (রাজাপুর সেতু) নির্মাণ ও ৭.৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। 

এ ছাড়া শিল্প ও শক্তি বিভাগের দুটি প্রকল্প একনেকে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য উপস্থাপন করা হবে। এগুলো হলো-প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর সিক্স এনওসিএস ডিভিশন আন্ডার ডিপিডিসি (বিশেষ সংশোধিত) এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন : ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প।


সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close