প্রকাশ: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:১০ পিএম (ভিজিট : ১৮৬)
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিকল্পিত। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়নি।এ কারণে দেশে শিক্ষিত বেকার চরম আকার ধারণ করেছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আজকের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান শুধু শিক্ষকদের সম্মান দেওয়ার জন্য । আমি শিক্ষকদের শ্রদ্ধাভরে সম্মান জানাই। আমি আগ্রহ করে সেচ্ছায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি, আমাকে কেউ চাপিয়ে দেয়নি। আমি সারা জীবন শিক্ষকতা করেছি তাই ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, স্কুল-কলেজের অনেক বড় বড় দাবি দাওয়া আমার কাছে এসেছে। আমি তাৎক্ষণিক এগুলোর সমাধান দিতে পারিনি বলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। নিজেকে ছোট মনে হয়। এদেশের শিক্ষকরা বিশেষ করে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের শিক্ষকরা আমাদের সমতুল্য যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও উপেক্ষিত। স্বল্প আয় দিয়ে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাই শিক্ষকদের জন্য দুঃসাধ্য। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকতা পেশায় মনোযোগ দিবেন কি করে?
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বেসরকারি স্কুল ও কলেজের পরিচালনা বোর্ডের অপরাজনীতির ফলে নিয়োগ বাণিজ্যের কথা শোনা যেত। সকল নিয়োগ ব্যবস্থায় নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। বেসরকারি এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের কেন্দ্রিয়ভাবে যোগ্যতা নির্ধারণ করে পদায়নের কারণে শিক্ষকরা পরিবার ছেড়ে দূর দূরান্তে গিয়ে চাকরি করছে। তারা নিদারুণ দুর্দশা নিয়ে জীবন যাপন করে। মর্মান্তিক এ বিষয়গুলো একেবারে সমাধান করা সম্ভব নয়। আংশিক সমাধানের চিন্তা করা যায়।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের একটি জবাবদিহিতার ও দায়িত্বজ্ঞানের বিষয় রয়েছে। শিক্ষকের কিছু নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে যা নিজ থেকে করা যায়। ছাত্রছাত্রীরা ঠিকমতো স্কুলে আসলো কিনা? তাদের কোন সমস্যা রয়েছে কিনা? বিষয়গুলো শিক্ষকদের দেখা। ছাত্র ছাত্রীদের সাথে শিক্ষকদের দরদ দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করলে অনেক কিছুই সহজ ও সুন্দর হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফয়েজ, ইউনেস্কো ঢাকায় অফিসার-ইন-চার্জ সুসান ভাইজ প্রমুখ।
সময়ের আলো/জিকে