প্রকাশ: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:১৩ পিএম (ভিজিট : ৩৪০)
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয়েছে কুলের ফুল থেকে মৌমাছি দ্বারা মধু সংগ্রহ। অল্প সময়ে বাড়তি মধু সংগ্রহ করতে পেরে খুশি খামারিরা। মধু উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পরাগায়নের মাধ্যমে ফুলের ফলন বাড়াতে এমন উদ্যোগ বলছেন কৃষি কর্মকর্তা।
দেখা যায়, সাধারণত সরিষা ফুল কিংবা লিচু ফুলের সময় মৌয়ালী বা খামারিরা মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে থাকে। আর এ সময় অনেকটা অলস সময় কাটে তাদের। মাছি বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজন হয় বাড়তি খাবারের। এতে লোকসানে পড়েন খামারিরা। এমন দিক বিবেচনা করে ঝিনাইদহের মহেশপুরে দ্বিতীয় বারের মতো শুরু হয়েছে কুল গাছের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ।
যশোর মাদারীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে খামারিরা বাক্স কলোনি-মৌমাছির বাক্স নিয়ে হাজির হন কুল গাছে ফুল আসার সঙ্গে সঙ্গে। সাধারণত সকালে এবং বিকালের দিকে মাছিগুলো ছুটে বেড়ায় ফুলে ফুলে। সেখান থেকে মধু নিয়ে ফেরেন কলোনিতে। এই মৌসুমে গড়ে ১ মাসে তিন বার মধু সংগ্রহ করা যায়। এতে খরচের তুলনায় লাভও হয় দ্বিগুণ বলেন খামারিরা।
তবে খামারিদের অভিযোগ, এখান থেকে সংগ্রহ করা যায় খুব ভালো মানের মধু। তবে কুল চাষিদের অসচেতনতায় খেতে বিষ প্রয়োগে অনেক মাছিই মারা যাচ্ছে।
মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াচমিন সুলতানা জানান, এই মৌসুমে মধু উৎপাদন হয় না। ফলে খামারিদের লোকসান গুনতে হয়। তাই এই লোকসানকে পিছনে ফেলে উৎপাদন বাড়িয়ে চাষিদের উৎসাহিত করতেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ও কৃষকদের কুল বাগানে খুব সকালে এবং দুপুরের দিকে কীটনাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে।
সময়ের আলো/জিকে