ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বিএনপি নেতাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে ৩ পুলিশ প্রত্যাহার
প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:২৪ পিএম  (ভিজিট : ২৫০)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় ইয়াবা দিয়ে বিএনপির এক নেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগে ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানার ওসি ইকবাল হোসেনকেও বদলি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসিম উদ্দিন, এসআই প্রদ্যুৎ ঘোষ চৌধুরী ও দীপক কুমার পাল। অপরদিকে ভুক্তভোগী বিএনপি নেতার নাম নোমান মিয়া। তিনি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আশুগঞ্জ বাজারের সার পরিবহন ব্যবসায়ী।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা নোমান মিয়া। অভিযোগে তিনি জানান, গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুগঞ্জ বাজারে তার ভাড়া বাসায় গিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি চালান। অভিযান শেষে সেনা সদস্যরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় এসআই দীপক কুমার পাল প্যান্টের পকেট থেকে পলিথিনে মোড়ানো ইয়াবা বাসার অন্য কক্ষে গিয়ে ফেলে আসেন। পরে এসআই দীপক ও প্রদ্যুৎ সোফার পেছনে ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে চিৎকার করতে থাকেন। নোমান মিয়া এর প্রতিবাদ করলে তাকে এসআই প্রদ্যুৎ হাতকড়া পরিয়ে মারধর করেন।

একপর্যায়ে বাসায় থাকা নগদ ৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ‘হুন্ডির’ দাবি করে সেগুলোও হাতিয়ে নেন পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়াও তারা বিভিন্ন ব্যাংকের নয়টি চেকের পাতা ছিঁড়ে নিয়ে যান। এরপর তাকে গাড়িতে তুলে থানায় নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী নোমান মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় যে মামলা হয়েছে সেখানে ভুলক্রমে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করে বাদী। পরে সকালে মামলার বাদী রমজান মিয়া এসে কোনো অভিযোগ নেই জানালে পুলিশ দুপুরে ছেড়ে দেয়। দল থেকে বহিষ্কার হওয়া বিএনপির নেতা নাসির এসব করিয়েছেন। আমি এই ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, নোমান মিয়া একটি মামলার ৬ নম্বর আসামি। রাতে তাকে আটক করা হলেও সকালে বাদী নোমান মিয়ার নাম ভুলক্রমে এজাহারে লেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। বাদী বিষয়টি আদালতেও জানিয়েছেন। বাদীর বক্তব্যের কারণেই রোমান মিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close