আওয়ামী লীগ সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে: আতাউর রহমান

প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৩৩ পিএম (ভিজিট : ১১৬)

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশকে ধ্বংস করেছে । আওয়ামী লীগ বিগত সাড়ে ১৫ বছর তারা ক্ষমতায় ছিল। তারা ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থাসহ সাংবিধানিক সব প্রতষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে তার দল আওয়ামী লীগকে। এটি আসলে কোনো রাজনৈতিক দলের নাম নয়। এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, ফ্যাসিস্ট সংগঠন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা শাখা আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয়যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তারা এখন বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শুধু ইসলামপন্থিদের মাঝে ঐক্য থাকলে হবে না। যারা দেশকে ভালোবাসেন, সব রাজনৈতিক দলের প্রধানতম কাজ হলো- এই স্বৈরাচাররা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।

মাওলানা আতাউর বলেন, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন আমাদের ছাত্ররা। ৫ আগস্ট বাংলাদেশের যে ঘটনাটি ঘটেছে, ইতিহাসে এমন ঘটনা খুবই কম ঘটে। গোটা দুনিয়ায় এমন ঘটনা বিরল।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা পালানোর জন্য এক ঘণ্টাও সময় পাবে না, সে নিজেও এটা চিন্তা করেনি। সে পালিয়েছে, পাশাপাশি আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরাও পালিয়েছে। কেন পালিয়েছে? এর আগেও তো অনেক সরকারের পতন হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানেও অনেকের পতন হয়েছ। খালেদা জিয়া ক্ষমতায়ছিলেন, আন্দোলন করে তারও পতন হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানে এরশাদেরও বিদায় হয়েছিল। এরশাদ সাহেব তো দেশ ছেড়ে পালায়নি, বেগম জিয়া তো দেশ ছেড়ে পালায়নি। তাদের (আ.লীগ) দেশ ছেড়ে পালাতে হলো কেন? কারণ হলো তারা এমন অপরাধ করেছে। তারা নিজেদের চেহারা মানুষকে দেখাবে এমন নৈতিক অবস্থানে ছিল না। তারা বিচারের মুখোমুখি হবে- এমন নৈতিক অবস্থান ও তাদের ছিল না। এ জন্য তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি গাজী মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহর সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় তথ্য গবেষণা ও আইন সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক এম.এ হাসিব গোলদার, মো. আব্দুল আজিজ নোমান, মাওলানা এ.কে.এম রেজাউল করিম, শেখ আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সময়ের আলো/জিকে